জাতীয় ডেস্ক :
গাইবান্ধার আলোচিত জুতা ব্যবসায়ী হাসান হত্যা মামলায় আসামির দুই স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপের অডিও ফাঁস ও অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেওয়া এবং আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তার অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুজ্জামানকে সুন্দরগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ মে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও মঙ্গলবার তা প্রকাশ্যে আসে। এদিকে বদলির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে তাকে বদলি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ বরিশাল রেঞ্জে তার বদলি করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘুষ লেনদেন ও ফোনালাপের অডিও ফাঁসের ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন পুলিশ হেডকোয়াটারে পাঠানো হবে।
এর আগে ২০২১ সালে ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার শহরের নারায়ণপুর এলাকার বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরের দিন নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মাসুদ রানা, রুমেল হক ও খলিলুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
