হোম জাতীয় খুলনার দাকোপে দলীয় স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দিতে কাচি হাতে ধান কাটলেন-মহিলা এমপি গ্রোরিয়া ঝর্ণা

খুলনার দাকোপে দলীয় স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দিতে কাচি হাতে ধান কাটলেন-মহিলা এমপি গ্রোরিয়া ঝর্ণা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 110 ভিউজ

খুলনা অফিস:
খুলনার দাকোপে অসহায় কৃষকদের ধান কাটায় দলীয় স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের উৎসাহ দিতে ধান ক্ষেতে কাচি হাতে পুরদস্তুর কৃষাণীর মত ধান কাটলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাড.গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা। রবিবার সকালে দাকোপের কৈলাশগঞ্জ ও বাজুয়া এলাকায় তিনি স্বেচ্চাসেবী প্রতিষ্টান, ‍আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও স্বেচ্চাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে কৃষকের ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্টানে এমপি নিজেই ধান কাটতে নেমে যান।চলতি পথে খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও যুব সমাজের স্বেচ্ছাশ্রমকে উৎসাহ দিতে ধান ক্ষেতে নেমে কাচি হাতে পুরদস্তুর একজন কৃষাণীর মত ধান কেটে নেতৃত্ব দেন খুলনা বাগেরহাট সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা। এতে স্থানীয় সাধারন মানুষ অভিভুত হন।
দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, করোনা সংকটকালে দেশ ব্যাপী গরীব কৃষকের ফসল কাটায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী বিশেষ করে ছাত্র ও যুবকরা যে ভূমিকা রাখছে তা প্রশংসনীয়। এরই ধারাবাহিকতায় দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব নেতা কর্মীরা একত্রীত হয়ে এলাকায় স্বেচ্ছাসেবায় কৃষকের ধান কাটতে সাহায্য করছে। এদিন কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক সুব্রত মণ্ডল ও রঞ্জন মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের জমিতে বোরো চাষী ধান কেটে দেয় দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। ধান কাটা ও সংগ্রহে অংশ গ্রহণ করেন সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা কর্মীরা, ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দরা। এ সময় দুই জন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাও সেখানে উপস্থিত হয়ে সকলকে উৎসাহিত করেন।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা বলেন, আমি এই মাটির একজন কৃষকের ঘরের সন্তান। ছোট থেকে সকল কৃষিকাজে আমি অংশ নিয়েছি তাই ছোট ভাইদের সাথে ধান কেটে হাতটা অনেক দিনপর একটু চালু করেই নিলাম। বিপদের দিনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার কাজ। জাতীয় সংকটে আর্তমানবতায় দলীয় নেতাকর্মী ও যুব সমাজ আমার প্রাণ। তাদের সাথে ভালো কাজে অংশ নিতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।
স্থানীয় কৃষক ও সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এমপি গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা করোনা সংকটের সূচনালগ্ন থেকেই এলাকার সকল রকম কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী উপহার বাড়ি বাড়ি গিয়েও সে পৌছে দিচ্ছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকল রকম সহযোগীতা করার পাশাপাশি সকল সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও উদ্বুদ্ধ করছেন। এলাকার সকল স্তরের মানুষের সাথে তার রয়েছে গভীর মিতালী। এই মহামারীর ভিতরেও নিজের জীবনের মায়া না করে প্রতিদিন প্রত্যন্ত এলাকার জনগনের খোঁজ খবর নেওয়া ও তাদের বিপদে কাছে ছুটে যাওয়াকে অনেকেই ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন।
ধান কাটায় অংশ নেয়া দলীয় নেতাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, ঝড় ঝাপটায় ও প্রাকৃতিক র্দূযোগের সাথে লড়াই করে বেচে থাকা দাকোপের মানুষ এর আগে বিপদের সময় এমন করে কোন এমপিকে কেউ এমন করে কাছে পায়নি। সবাই যখন ঘরে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত তখন এমপি দিদি আমাদের মাঝে এটাই পার্থক্য।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন