হোম জাতীয় খিলক্ষেতে দুই মসজিদ ও এক মন্দির বরাদ্দ পেলো রেলের জমি

খিলক্ষেতে দুই মসজিদ ও এক মন্দির বরাদ্দ পেলো রেলের জমি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 422 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর জোয়ার সাহারা মৌজায় দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (২৭ আগস্ট) রেলভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মসজিদ ও মন্দিরের পরিচালনা কমিটির কাছে বরাদ্দপত্র তুলে দেন ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. মহিউদ্দিন আরিফ।

বরাদ্দপ্রাপ্ত মসজিদ ও মন্দিরের মধ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন জোয়ার সাহারা মৌজায় খিলক্ষেত রেলওয়ে জামে মসজিদের জন্য ০ দশমিক ২০১১ একর (৮৭৬০ বর্গফুট), একই মৌজায় আন-নূর-জামে মসজিদের জন্য ০ দশমিক ০৫৫২ একর (২৪০৫ বর্গফুট) এবং খিলক্ষেত থানাধীন একই মৌজায় খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের জন্য ০ দশমিক ০৫৬২ একর (২৪৫০ বর্গফুট) জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত প্রতীকী মূল্যের বিনিময়ে এসব জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বরাদ্দপত্র হস্তান্তরের জন্য আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, মসজিদ ও মন্দির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, খিলক্ষেত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কেউ এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেলওয়ের জমি মসজিদ ও মন্দিরকে বরাদ্দ দেওয়াকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের রোল মডেল। তারপরও বিভিন্ন সময়ে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা উপাসনালয়গুলোকে যারা অপবিত্র করতে চায় তাদের ধর্মীয় কোনও পরিচয় নেই, তারা দুষ্কৃতকারী, ক্রিমিনাল। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের বেহাত হয়ে যাওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি যেগুলো নিয়ে আদালতে কোনও মামলা-মোকদ্দমা নেই, এরূপ সম্পত্তি উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বাংলাদেশ রেলওয়ের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বরাদ্দপত্র হস্তান্তর শেষে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিং শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রেস সচিব বলেন, চন্দ্রনাথ হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশি হিন্দু ধর্মীয় ভাই-বোনদের সবচাইতে মহাত্বের জায়গা। এটা হাজার হাজার বছর ধরে সেই জায়গাটায় আছে। ওইখানে ৪০০ মন্দির আছে। আমাদের তিন উপদেষ্টা বলেছেন, চট্টগ্রামের ডিসি, পুলিশ এবং ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে বলা হয়েছে। কেউ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে বরদাস্ত করা হবে না।

রাজধানীর খিলক্ষেতে দুইটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য রেলওয়ে জমি দেওয়ার বিষয় তিনি বলেন, রেলের আইনে কোথাও লেখা নেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে। এই আইনকে সামনে রেখে এটা কিছু পরিবর্তন করে হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য পার্মানেন্টলি জমি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন