হোম জাতীয় কৃষক হত্যার ৭ বছর পর ১২ জনের যাবজ্জীবন

জাতীয় ডেস্ক :

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় কৃষক সামাদ মাতবর হত্যা মামলায় ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ রায় দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায়ের সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আজিজুল মাতবর, রফিকুল মৃধা, লিটন মাতবর, মান্নান মৃধা, আ. আলিম মাতবর, মফিজ মৃধা, তারন ফরাজী, নুরুল হক মাতবর, জুলহাস মাতবর, আলাউদ্দিন ফকির, আ. বারেক মাতবর ও মনির মাতবর। তাদের সবার বাড়ি জাজিরা উপজেলার চরখোরাতলা গ্রামে।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার চরখোরাতলা গ্রামে আজিজুল মাতবর ও মালেক ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই জেরে ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল তাদের মধ্যে সংঘর্ষে মালেকের বাবা সাহেব আলী ফকির মারা যান। ১৫ এপ্রিল নিহত সাহেব আলীর ভাগিনা মোতালেব মাতবর ৩৪ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় থানায় ৪৪ জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন প্রতিপক্ষ আজিজুল মাতবর।

এদিকে, ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর সামাদ মাতবরকে কে বা কারা হত্যা করে ওই এলাকার ফসলি জমিতে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় একটি মামলা হয়। সঠিক তদন্তের জন্য মামলাটি শরীয়তপুর সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে সিআইডি মামলার তদন্ত শেষে জানতে পারেন, আসামি আজিজুল মাতবরসহ ১২ জন মিলে আগের মামলার সাক্ষী ও বাদীকে ফাঁসিয়ে দিতে নিজ দলের সমর্থক সামাদ মাতবরকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে শাহজালাল মাতবর বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সাত বছর পর পর সিআইডি দুই বছর ৬ মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সব সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ রায় দেন।

রায়ে খুশি বাদী পক্ষের আইনজীবীসহ ভুক্তভোগী পরিবার। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন