কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট থেকে এক নারী সহ মামুনুল হক জনতার হাতে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলিয়ারচরে রাত ৯.৩০ মিনিটে উছমানপুর ইউনিয়নের নাজিরদীঘি ও পৌর শহরের বড়খারচর এবং পূর্ব গাইলকাটা ও আশ-পাশের এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল কুলিয়ারচর বাজারে প্রবেশ করে। মিছিলটি কুলিয়ারচর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুলিয়ারচর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে থামে। পরে সমর্থকদের অপর একটি মিছিলও এসে জড়ো হয় সেখানে। মিছিল থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ও ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় বলে জানা গেছে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মিছিলকারীরা ইট- পাটকেল নিক্ষেপ করে। রাত ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মাঝে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা চত্বরে গিয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে ইট- পাটকেল ছুঁড়ে ও ভাঙচুর করে। এ সময় মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পাঠাগারের জানালা ও সরকারি হাসপাতালের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে তারা। ইট- পাটকেলের আঘাতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার পর ভৈরব সার্কেল রেজুয়ান দীপু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরী বিশেষ ফোর্স নিয়ে কুলিয়ারচর থানায় অবস্থান করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলায় ৫ জনকে আটক করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়। আজ ৪ এপ্রিল সকালে এসআই সাদ্দাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২। ৩৩ জনকে আসামী ও অজ্ঞাত ৫০০ জন সহ ৫৩৩ জনকে মোট আসামী করা হয়েছে। সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এ নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।