আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান এখন কারাগারে। পরপর দুই মামলায় ২৪ বছর জেল হয়েছে তার।
ফলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না খান। কিন্তু এরপরও কারাগার থেকেই এই নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার জোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
আর এই লড়াইয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়ে উঠেছে ইমরান খানের একমাত্র অস্ত্র। মূলত নির্বাচন সামনে করে দলের লাখ লাখ নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ও সমর্থককে লড়াইয়ের ময়দানে অবিচল রাখতে এই অস্ত্রের সফল ব্যবহার করছে তার দল পিটিআই।
ফেসবুক ও এক্স তথা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিকটকের মতো ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মে মুহূর্তে সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ক্যাপ্টেনের বক্তব্য।
পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি)। এরই মধ্যে জোর প্রচারণা শুরু করেছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএর-এ) ও পাকিস্তান পিপল’স পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে না পিটিআই নেতারা।
‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরাসরি মাঠে-ময়দানে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের গুম ও হত্যাও করা হচ্ছে। সবশেষ গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) খাইবার পাখতুনখোয়ার পিটিআই নেতা ও সংসদ সদস্য প্রার্থী রিহান জেব খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বিকল্প ও অপ্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করছেন পিটিআই নেতারা। কারাগারে থাকায় সরাসরি বক্তব্য দিতে পারছেন না ইমরান খান। এক্ষেত্রে একটি কৌশল বের করেছেন তিনি।
কারাগার থেকে আইনজীবীদের মাধ্যমে নোট আকারে বক্তব্য লিখে পাঠোচ্ছেন ক্যাপ্টেন। আর সেই নোট থেকে এআই ভয়েস জেনারেশন ব্যবহার করে অডিও বক্তব্য তৈরি করা হচ্ছে।
সেই অডিও বক্তব্য দিয়ে টিকটকে ডিজিটাল সভা-সমাবেশ আয়োজন করছে পিটিআই নেতারা। সভা-সমাবেশ আয়োজনে ইমরান খানের কারা নম্বর ‘প্রিজোনার নাম্বার ৮০৪’ ব্যবহার করা হচ্ছে।
খানের ফেসবুক পেজেও একটি চ্যাটবট রয়েছে। যার মাধ্যম নির্বাচন সম্পর্কিত সব তথ্য ও দিক-নির্দেশনা মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে নেতাকর্মী ও নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে।
এই পদ্ধতি অবশ্য গত বছরই শুরু হয়। গত ডিসেম্বরে কারাগার থেকেই দলের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নন ইমরান খান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সাহায্যে কণ্ঠ নকল করে তার বক্তব্য প্রচার করা হয়। তবে নির্বাচন সামনে করে এটাই ইমরান ও তার দলের প্রধান অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।