হোম আবহাওয়া বার্তা কাবুলে হামলার ঝুঁকি আরও বাড়ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা বাহিনীর প্রত্যাহারের সময় ঘনিয়ে আসার পাশাপাশি কাবুল বিমানবন্দরে হামলার হুমকি ফের বাড়বে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এমন মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা রয়েছেন। বেন ওয়ালেস বলেন, আমাদের সেনা প্রত্যাহার ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হামলার হুমকিও স্পষ্টভাবে বাড়ছে। আফগানিস্তান থেকে আমাদের চলে আসার পর আইএসের মতো কিছু গোষ্ঠী দাবি করতে চাইবে যে, তারাই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সেনাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে আফগানিস্তানে নিজেদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে ব্রিটিস সরকার। যদিও আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে দেশটি।

কাবুল বিমানবন্দর থেকে সর্বশেষ হাজারখানেক লোককে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিটেন। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে তাদের দুই দশকের উপস্থিতির অবসান ঘটবে।

ওয়ালেস বলেন, নতুন করে কাউকে বিমানবন্দরে আসতে বলা হচ্ছে না। বরং যাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়েছে, তাদেরই কেবল সরিয়ে নেওয়া হবে। সবাইকে এখন সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না বলে আমরা দুঃখিত। আফগানিস্তানে এখনমাত্র এক থেকে দেড়শ ব্রিটিশ নাগিরক রয়েছেন। যাদের অনেকে দেশটিতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাবেক এই সেনা বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার কারণে লোকজনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময়সূচি বাড়ানো হবে না। ব্যারোন হোটেলের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র নির্ধারিত সময় অনুসারে বন্ধ হয়ে যাবে।

কাবুলে সর্বশেষ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা আফগানিস্তান ছাড়ার আশা নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় করা অনেকের স্বপ্নকে পরিণত করেছে দুঃস্বপ্নে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলছেন, এই ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি তাদের আজীবনই বয়ে বেড়াতে হবে।

বিস্ফোরণে বেঁচে ফেরা একজন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে তিনি কেয়ামত দেখেছেন। তিনি বলেন, জীবদ্দশায় কেয়ামত দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু আজ আমি কেয়ামতই দেখেছি, নিজের চোখ দিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি।

বেঁচে ফেরা এ ব্যক্তি একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাবেক কর্মী, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসাও আছে তার।

বৃহস্পতিবার আরও কয়েক হাজার মানুষের মতো তিনিও হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কূটনীতিক, বিদেশি নাগরিক, বিদেশিদের সঙ্গে কর্মরত ও তাদের সহযোগী আফগানদের দেশ ছাড়ার জন্য ৩১ অগাস্টের যে সময়সীমা নির্ধারিত। তা যতই এগিয়ে আসছিল, কাবুল বিমানবন্দরে ভিড়ও যেন ততই বাড়ছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন