হোম জাতীয় করোনা শনাক্ত হওয়ায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির ছেলেও আক্রান্ত

করোনা শনাক্ত হওয়ায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির ছেলেও আক্রান্ত

কর্তৃক
০ মন্তব্য 100 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

করোনায় আক্রান্তের খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে আত্মগোপনকারী ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির নার্স স্ত্রীর পর তার ১২ বছরের ছেলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মে) রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলে তার করোনা পজেটিভ আসে। ওই কিশোর ছাড়াও শহরের সেউজগাড়ি এলাকার এক ব্যাংকারও (৫৮) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ২৩ জন আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানায়, ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে
মঙ্গলবার শজিমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ৯৪ জনের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে বগুড়ার ৯১ জনের মধ্যে দু’জন পজেটিভ। জয়পুরহাটের তিন জনই নেগেটিভ। বগুড়ায় আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে এক কিশোর ও এক ব্যাংকার রয়েছেন।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে আসা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি করোনা আক্রান্ত হন। এরপর তিনি নার্স স্ত্রীকে ভাড়া বাড়িতে রেখে ১২ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সদরের শেখের কোলার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। পরে তার স্ত্রী বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ও ছেলের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। দু’দিন আগে ওই নার্স করোনা পজিটিভ হন। মঙ্গলবার ছেলের আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে ওই নার্স শাজাহানপুরের ফুলতলার ভাড়া বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছেন। ওই বাড়িসহ আশপাশের ৫ বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা
টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শেকের কোলার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়িও লকডাউন
করা হয়। ওই বাড়িতে ওই তার স্বামী ও ছেলে কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এছাড়া বগুড়া শহরের সেউজগাড়ির ওই ব্যক্তি ইসলামী ব্যাংক নীলফামারীর সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক। ওই ব্যাংকের ৭ জন করোনা আক্রান্ত হলে ব্যাংক লকডাউন করা হয়। তিনি গত ২৮ এপ্রিল বগুড়ার বাড়িতে ফেরেন এবং ৩ মে নমুনা দেন। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে পাওয়া রিপোর্টে তিনি পজেটিভ। প্রশাসন তার সেউজগাড়ির বাড়ি ও আশপাশের বাড়ি লকডাউন করবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন