অনলাইন ডেস্ক :
কফ-থুতু নিয়ন্ত্রণ করলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ‘কফ-থুতু করোনাভাইরাসসহ বহু রোগ ছড়ায় : কফ-থুতু যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করো’ শীর্ষক মানববন্ধনে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি করেন।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এবং বারসিক এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ, সেভ দ্য রিভারের সদস্য শাকিল রহমান, পুরান ঢাকা পরিবেশ উন্নয়নের সভাপতি হাজী আনসার আলী, পরিবেশ উন্নয়ন উদ্যোগ সভাপতি নাজিমউদ্দিন, সদস্য জিএম রুস্তম খান, নাসফের সহসভাপতি কেএম সিদ্দীক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বারসিকের সমন্বয়কারী সুদীপ্তা কর্মকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে নেতারা বলেন, কফ-থুতু শুধু অপরিচ্ছন্নতা বা দেখতে নোংরা লাগার বিষয় নয়। এটি পরিবেশেরও মারাÍক ক্ষতি করে। কফ-থুতু যেখানে সেখানে ফেলার কারণে অনেক রোগের উৎপত্তি হয়। যেহেতু এটি ভেজা অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি জীবিতও থাকে অনেক বেশি। এর ফলে সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে এসে থুতু ও কফ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
তারা বলেন, যত্রতত্র কফ-থুতু ফেলার সমস্যাটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে এশিয়ায় শহরাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর বিষয়গুলোর অন্যতম জনসমক্ষে থুতু ফেলা। যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া। এমনকি ভারতেও কিছু এলাকায় আইন হয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের আইন নেই এবং সচেতনতা তৈরিরও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
মানববন্ধন থেকে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হল- যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে আইন এবং জরিমানা করার বিধান রাখা, জনগণকে যেখানে সেখানে প্রকাশ্যে কফ-থুতু ফেলা বন্ধ করার বিষয়ে সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তোলা, কফ-থুতু যেখানে সেখানে না ফেলে রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে ফেলতে উৎসাহিত করা, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা ও সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের ভেতর তৈরি হওয়া আতঙ্ক কমিয়ে এটি প্রতিরোধে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
সূত্র-যুগান্তর