হোম জাতীয় কক্সবাজারে আটকেপড়া পর্যটকদের পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ

জাতীয় ডেস্ক :

হঠাৎ করে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছে প্রায় বিশ হাজার পর্যটক। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারেনি। এসব পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।

শনিবার (০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক পর্যটক নিয়ে কক্সবাজার ছেড়েছে একটি বাস।

সরজমিনে কক্সবাজার পুলিশ লাইন্স গিয়ে দেখা যায়, গেইটে পর্যটকরা ভিড় করছেন। তবে পুলিশের কয়েকজন সদস্য পর্যটকদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন সারিবদ্ধভাবে। তারপর একে একে পর্যটকরা নিবন্ধন করছেন। তারপর পর্যটকরা চলে যাচ্ছেন পুলিশ লাইন্স হল রুমে। সেখানে তাদের বসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। পরে বাস আসার পর পর্যটকদের বাস ওঠানো হচ্ছে।

ইয়াসমিন সুলতানা নামের এক পর্যটক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন এসেছি শুক্রবার ভোরে, আজকে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু পরিবহন বন্ধ থাকায় আটকে গেলাম। কল্পনাও করতে পারেনি পুলিশ এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। অবশেষে পুলিশের বাসেই ফিরছি বন্দর নগরীতে। সেখান থেকে ট্রেনে করে চলে যাব।

কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ধর্মঘটের কারণে আটকা পড়ে ২০ হাজার পর্যটক। এ সকল পর্যটকরা খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। পুলিশের বাস সেবার সিদ্ধান্ত অনেক পর্যটক উচ্ছ্বসিত। পুলিশের এমন সিদ্ধান্তে তারা অনেক আনন্দিত। আমরাও বিষয়টি হোটেলে হোটেলে ছড়িয়ে দিয়েছি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেড়াতে আসে প্রায় বিশ হাজার পর্যটক। যার ফলে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটকরা। সে বিবেচনায় নিজস্ব পরিবহনে পর্যটকদের ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

তিনি আরও বলেন, অনেক পর্যটক অতিরিক্ত ভাড়ায় উড়োজাহাজে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। যাদের সেই সামর্থ্য নেই তারা ছোট যানবাহনে কক্সবাজার ছাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া দুই-তিনগুণ হওয়ায় তারা কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারছেন না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন লাখো পর্যটক। অনেকেই কক্সবাজার এসেছেন বৃহস্পতিবার। আবার শুক্রবার ভোরেও পৌঁছান অনেকে। যারা শুক্রবার ফিরে যাওয়ার শিডিউলে ছিলেন তারা এসেছিলেন আরও কয়েকদিন আগে। এ রকম পর্যটক বিশ হাজার হবে বলে জানান হোটেল সংশ্লিষ্টরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা নির্ধারিত সময়ে কক্সবাজার ছেড়ে যেতে পারেননি।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণপরিবহন, মালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় পরিবহন সংগঠনের নেতারা। যার প্রভাব পড়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন