হোম রাজনীতি ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মান্নার নাম বাদ, নির্বাচনের বাধা কাটলো

ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মান্নার নাম বাদ, নির্বাচনের বাধা কাটলো

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 54 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:

ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম অবিলম্বে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এ আদেশের ফলে বগুড়া থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তার আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়।

এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল-১২ এর দফা (১) ও উপদফা (ঠ) অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ঋণখেলাপি থাকায় মান্নার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিল। রোববার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে তার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, সে সময় পর্যন্ত তিনি ঋণখেলাপি হিসেবেই বহাল ছিলেন।

শুনানিতে মান্নার পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক সুমন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. উজ্জ্বল হোসাইন।

উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃতফসিলের আবেদনে নথিপত্রে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় ইসলামী ব্যাংক মান্নার আগের দেওয়া স্যাংশন লেটার বাতিল করে। এর আগে তার করা রিট আবেদনও হাইকোর্টে খারিজ হয়।

যুগপৎ আন্দোলনের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্নার জন্য বিএনপি বগুড়া-২ আসন ছেড়ে দেয়। তিনি দলীয় প্রতীক ‘কেটলি’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান।

এর আগে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছিলেন। সেখানে মান্না বলেন, ২০০৭–০৮ সালে ঋণ নিয়ে নিজ এলাকায় একটি হিমাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৪ সালে রাজনৈতিক কারণে কারাবন্দি হওয়ার পর তিনি ব্যবসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। বর্তমানে ওই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি টাকায়।

তিনি জানান, ঋণসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি মানুষের সহযোগিতায় নির্বাচনে অংশ নিতে চান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন