জাতীয় ডেস্ক :
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপির কোনো সুযোগ নেই; বরং ইভিএমের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনে যত ইভিএম দরকার তার থেকে দ্বিগুণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভোট চলাকালীন ইভিএমে সমস্যা হলে এক্সপার্ট রয়েছে, তাৎক্ষণিক সমাধান করা হবে। ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই; বরং ইভিএমের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
গাইবান্ধার উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নীতিনৈতিকতা, লোভ-লালসা ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে একেবারে স্বাধীনভাবে আইনের কাঠামো অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোনো প্রার্থীর লোকজন ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের প্রভাব খাটায় কিংবা ভোটার বা বহিরাগতদের ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষ বুথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখান থেকে বের করে দেবেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করবেন। এটা আমি তাদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছি। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করা দরকার, নির্বাচন কমিশন সবই করবে।’
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ভোটার ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক চিক্র লেখা নাজনীন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা, রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২২৯টি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন।