হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনি সকরারি কলেজের অধ্যক্ষ; কোয়ারেন্টাইন না মেনে কর্মস্থলে যোগদান

আশাশুনি সকরারি কলেজের অধ্যক্ষ; কোয়ারেন্টাইন না মেনে কর্মস্থলে যোগদান

কর্তৃক
০ মন্তব্য 97 ভিউজ

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম নীতি ভঙ্গ করায় বিভিন্ন প্রত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তার নিজ জেলা রাজশাহী থেকে আনুঃ ৩মাস পর তড়িঘড়ি করে কোয়ারেন্টাইন না মেনে কর্মস্থলে যোগদান করায় করোনার ভয়ে আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়েছে শিক্ষক ও কর্মচারীসহ পার্শ্ববর্তি সাধারন মানুষ। বিভিন্ন সুত্র বলছে অধ্যক্ষ ডঃ মিজানুর রহমান সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়াতে ৩মাস নিজ জেলা রাজশাহীতে অবস্থান করায় সর্বশেষ পত্রিকায় খরর প্রকাশের জের ধরে গত ৩জুন রাত্র আনঃ ১০ঘটিকার সময় তিনি তার কর্মস্থলে হাজির হয়ে ওই রাতেই তার অনিয়মের সকল সমস্যা সমাধান করে বিধি মোতাবেক যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি কোয়ারেন্টাইন না মেনে গত ৪জুন উপজেলা পরিষদ এবং আশাশুনি প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য দপ্তরে দাপিয়ে বেড়াতে দেখাগেছে। এ সকল বিষয় উপজেলাবাসীর দৃষ্টিগোচর হলে তাদের মধ্যে একধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এবং তারা বলছে গরীব অসহায় মানুষ যখন মহামারি করোনা ভাইরাসের আগে নিজ জেলা থেকে ভিন্ন ভিন্ন জেলায় কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়ে বাড়ীতে আসলে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তাদের বাড়ীতে লাল পতাকা উত্তোলন করে সনক্ত করে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আইন তো সবার জন্য সমান। তবে তাদের প্রশ্ন আইন শুধু গরীব অসহায় মানুষের জন্য ? না কি কলেজ অধ্যক্ষ বলে তার বেলায় কোন নিয়ম নীতি থাকবে না ? সরকারি নিয়মে এমনটি তো বলা নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান তিনি দীর্ঘদিন সরকারি কাজে বাহিরে ছিলেন। তিনি কবে কোন তারিখে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন তা আমার জানা নাই। বর্তমান এহেন পরিস্থিতিতে যদি এসে থাকেন অবশ্যই তিনি সরকারি নিয়ম পালন করবেন। এ বিষয় ডঃ মজিানুরের কাছে মেবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি সকল বিষয় অস্বিকার করে বলেন সরকারি দাযিত্ব বিধি মোতাবেক পালন করছি। উল্লেখ্য এমন হটকারি ব্যক্তি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চাইছেন আশাশুনি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন