আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনির কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলবাজীর বিরুদ্ধে এবং দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকালে স্কুল কক্ষে সরেজমিন তদন্ত পরিচালনা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন। অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুনের বিরুদ্ধে ম্যনেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ম, কমিটি বাতিলের জন্য আদালতে মামলা দায়ের, এমপি মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য গ্রহনে অনীহা, আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।
তদন্তকালে বাদীসহ স্বাক্ষীরা লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য প্রদান করেন। এবং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সিভিল রিভিশন নং ১৫৭৭/২০২১ (ভার্চুয়াল কোর্ট) এর রায় প্রদর্শন করা হয়। যাতে “পক্ষগণকে নালিশী বিষয়ে দখল ও পদ সংক্রান্তে স্থিতিবস্থা বজায় রাখিতে নির্দেশনা প্রদান করা হইল” মর্মে অনুবাদকৃত রায় লিপিবদ্ধ আছে।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক স্থানীয় কোন্দলের একটি পক্ষের সমর্থন করে এসএমসি সভাপতিকে কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে নিজের ইচ্ছামত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। যা সভাপতি সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের জন্য অত্যান্ত অসম্মানজনক ও শিশুদের লেখাপড়ার পরিবেশ বিনষ্ট করার শামিল বলে অভিযোগকারীরা প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন।
অপর দিকে, বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী শিব প্রসাদ সরকারকে গত ২৮ মার্চ’১৩ তারিখে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে চাকরী পাইতে এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় তার বয়স পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শিবপদ সরকার এসময় তার এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন সহ স্বপক্ষের সকল অনলাইন কাগজপত্র সরবরাহ করতে প্রাথমিকভাবে সক্ষম হন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তকালে বাদী রুহুল আমিনসহ, মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগম, অভিভাবক মইনুদ্দিন, এরশাদ, রফিকুল, গনেশ গাইন লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য প্রদান করেন।
তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিপিইও রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উভয় পক্ষের বক্তব্য প্রকাশ্যে শুনলাম ও প্রমাণাদী সহ লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। পরে স্বপক্ষের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পর্যালোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তবে তদন্ত কালে স্পষ্ট বোঝা গেছে বিদ্যালয়ের এলাকার মানুষকে দু’পক্ষে বিভক্ত করা হয়েছে। যার পিছনে কেউ না কেহ রয়েছে। এতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ একেবারেই বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। ফলে সুষ্ঠু স্কুল বা ক্লাস ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা স্কুলের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে কোন প্রকার কুণ্ঠাবোধ করব না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, এসএমসি কর্মকর্তাবৃন্দসহ অধিকাংশ অভিভাবকরা স্কুলের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরীর যে কোন একজনকে স্কুল থেকে অন্য স্কুলে সরিয়ে নেওয়ার জোর দাবী জানান।
