এম এম সাহেব আলী আশাশুনি :
আশাশুনিতে প্রতিবন্ধী সরজিত সরকার এর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরিয়ে দিয়ে পুলিশ যে জনগণের সেবক হতে পারেন তার বাস্তব প্রমাণ করতে সক্ষম হলেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির। উল্লেখ্য গত ১৭ই জানুয়ারি রবিবার দুপুরে প্রতিবন্ধী সরজিত সরকার এর লিখিত এক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাড়িভাঙ্গা মৌজার জে এল নং ৯৪ খতিয়ান নং ২৩২ এর বিভিন্ন দাগে ৩,১৭ একর জমির মধ্যে দাবীকৃত তিন বিঘা জায়গা জমির হারির টাকা নিয়ে তালবাহানা করে আসছেন শ্রীউলা ইউনিয়নের শ্রীউলা গ্রামের দিপুপদ সরকারের ছেলে নিরান সরকার (৪৫) ও তরঙ্গ সরকার (৪২) নাটানা গ্রামের পবন সরকারের ছেলে অর্জুন সরকার (৪১) এবং শ্রীউলা গ্রামের মোঃ সহমত (৪২) ও মোঃ রহমান সরদার (৪২)সহ আরো অনেকেই প্রতিবন্ধকতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে তার জমি দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছে।
সে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাকতাড়া গ্রামের দীপুপদ সরকারের ছেলে। ভ্যান চালিয়ে পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা শারীরিক প্রতিবন্ধী সরজিত সরকার। থানায় অভিযোগ করতে আসলে থানার ওসির ভালো ব্যবহার ও ভালো কথা শুনে বুঝে তাদের মুখে আনন্দের হাসির চিহ্ন দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবিরের বক্তব্য, শারীরিক প্রতিবন্ধী সরজিত সরকার ও তার মাতা ঊষা রানী সরকার অভিযোগ করতে আসলে পাশে বসিয়ে তাদের হারির টাকার আত্মসাৎ এর কথা মনোযোগ সহকারে শুনে বুঝে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে তার ব্যবস্থা নিয়েছি। শুনলাম তার দুইটা বাচ্চা আছে তাদের জন্য কিছু খাবারও পাঠিয়েছি। উপজেলার সাধারণ জনগণের বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশ যে জনগণের সেবক হয় সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হলেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির।