হোম রাজনীতি আবেদনের পর এক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাভেল পাস পেতে পারেন তারেক রহমান

আবেদনের পর এক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাভেল পাস পেতে পারেন তারেক রহমান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 48 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাসের আবেদন করেননি। তিনি আবেদন করলেই এক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, তারেক রহমানের ট্রাভেল পাস এখন ‘স্বাক্ষর আর সিলের’ ব্যাপার মাত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রাভেল পাস নিতে তারেক রহমানের পক্ষে এখনো কোনো আবেদন বা অনুরোধ পায়নি হাইকমিশন। তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এমন দুইজন বিএনপি নেতা হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন ট্রাভেল পাস পেতে কতক্ষণ লাগতে পারে। জবাবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ এক ঘণ্টায় তার ট্রাভেল পাস ইস্যু করা সম্ভব।

ট্রাভেল পাস নিতে সরাসরি বাংলাদেশ হাইকমিশনে যেতে হবে না তারেক রহমানকে। তাকে একটি আবেদন পাঠাতে হবে। আবেদন করতে হবে হাইকমিশনের নির্ধারিত ফরমে। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে একটি ছবি, পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি অথবা বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সনদের কপি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যে কোনো সাধারণ বাংলাদেশির জন্য এ ধরনের ট্রাভেল পাস একদিনে পাওয়া সম্ভব। তবে চট্টগ্রাম বা কক্সবাজার বাড়ি হলে অথবা আগের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট না থাকলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ট্রাভেল পাস নিতে তারেক রহমানের পক্ষে এখনো কোনো আবেদন বা অনুরোধ পায়নি হাইকমিশন। তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এমন দুইজন বিএনপি নেতা হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন ট্রাভেল পাস পেতে কতক্ষণ লাগতে পারে।

তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারি সূত্র। ‍

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কারও বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ না থাকলে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা কোনো ব্যাপারই না। একটা ‘স্বাক্ষর আর সিলের’ ব্যাপার মাত্র।

এদিকে, রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় লন্ডন থেকে দুইজন চিকিৎসক বাংলাদেশে আসছেন বলে নিশ্চিত করেছে বিএনপির একটি সূত্র। লন্ডনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ফটকের সামনে ব্রিফ করেন। এসময় তিনি বলেন, আজ যুক্তরাজ্য থেকে তাকে (খালেদা জিয়াকে) দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ আসবেন। তারা দেখবেন। দেখার পর তিনি যদি ট্রান্সফারেবল হন, যদি ট্রান্সফারের প্রয়োজন পড়ে, যদি মেডিকেল বোর্ড মনে করে তখন তাকে যথাযথভাবে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কাতার, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ভারত এরই মধ্যে চিকিৎসা সহায়তার হাত বাড়িয়েছে বলেও জানান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ মুহূর্তে দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

সাধারণত পাসপোর্ট না থাকলে কোনো দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরার জন্য বিশেষায়িত ট্রাভেল পাস প্রয়োজন হয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্যেও ইঙ্গিত মিলছে, তারেক রহমান হয়তো এখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাননি বা নেননি।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ‘স্পেশাল কেয়ারে’ রাখা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। খুব শিগগির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরবেন বলে গতকাল সোমবার রাতে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে এক দিনের মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেবে সরকার।

সাধারণত পাসপোর্ট না থাকলে কোনো দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরার জন্য বিশেষায়িত ট্রাভেল পাস প্রয়োজন হয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্যেও ইঙ্গিত মিলছে, তারেক রহমান হয়তো এখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাননি বা নেননি।

এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার সদিচ্ছা প্রকাশ করতে গিয়ে এভাবে বলে থাকতে পারেন। তবে আমরা মনে করি ট্রাভেল পাস বা পাসপোর্ট- কোনো কিছু নিয়েই সমস্যা হবে না। কারণ এক্ষেত্রে সরকারেরও সদিচ্ছা আছে।

তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছেন কি না কিংবা চেয়েছেন কি না অথবা পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

গত ২৯ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘সংকটকালে মায়ের স্নেহ-স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত।’

আজ মঙ্গলবার আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন