নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় অবৈধ দখলদারিদের দখলত্ব উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার আঠার মাইল, কুমিরা ও পাটকেলঘাটায় ওভার ব্রিজ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক জনপদের নির্বাহী ম্যাজিট্রেড অনিন্দিতা রায়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, বিভাগীয় উপ প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীন, সহকারী উপ প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, সার্ভেয়ার কামরুল আহসান, সাইফুল ইসলাম সহ সড়ক জনপদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদের নির্দেশ ক্রমে সারাদেশে অবৈধ দখলদারীদের দখলচ্যুত এবং সরকারী সম্পত্তি রখায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে রাস্তায় অবৈধ দখলদারিদের নোটিশ দিয়ে অবগত করা হয়েছে। তারপর আজ সকালে কিছু কর্তপয় লোক এসে অভিযান বাধার সৃষ্টি হয়ে পুলিশি তৎপরতায় আবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলায় তিনদিন ব্যাপি এঅভিযান চলবে বলে সবশেষে বলেন তিনি।
স্থানীয় ব্যাবসায়ীর, অরুন পাল জোতি ঘোষ, এমদাদ হোসেন সহ অনেকে জানান, আমাদের পাটকেলঘাটা এলাকায় প্রায় ৫শতাধিক দরিদ্র মানুষের দোকান নির্মান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে দীর্ঘদিন । সরকারী পদক্ষেপকে আমারা স্বাগত জানাই, কিন্তু মাঝখানে কয়েকত পরিবার বেকার হয়ে গেল এটাই আফসোস।
কুমিরা বাজার কমিটির সভাপতি শাহাবাজ আলী জানান, সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করছে সড়ক ও জনপদের লোকজন। কুমিরা প্রায় দুই শতাধিক দেকান রয়েছে। আজ চোখের সামনে দরিদ্র মানুষ গুলোর দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হল এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক। এই দরিদ্র মানুষগুলো কোথায় যাবে এখন? সরকার যদি তাদের পূর্নবাসন করত তাহলে দরিদ্র মানুষ গুলো বেঁচে যেত। তবু সরকারী নির্দেশ এটা আমাদের মানতে হবে বলে জানান তিনি ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাবসায়ীর জানান, আমরা উচ্ছেদ অভিযান কে স্বাগত জানাই। তবে পাটকেলঘাটা ওভার ব্রিজের পর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে মুনসুর আলী নামে অবৈধ প্রতিষ্টান রয়েছে। কোন এক অদৃশ্য কারনে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান থেমে যায়।
তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় কুমিরা বাসস্ট্যান্ডের হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবছরে পুরোনা মন্দির সহ ভেঙ্গে দেওয়া হয় পাশের মসজিদের কিছু অংশ। ওসময় কিছু লোক বাঁধা দিতে গেলে তাদের কোন কথাই কর্নপাত করনি সড়ক জনপদের কর্মকর্তরা।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক মুনসুর আলী। তার সপক্ষে কাগজ পত্র সহ ট্রেস ম্যাপ আমাদের কাছে দিয়েছেন। একারনে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে সেটা না জেনেই করছে। উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ দখলকারী যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা।