নিউজ ডেস্ক:
কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বৃদ্ধি করেছে আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, সরকার এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না এবং কোম্পানিগুলোকে আইনগত ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ অভিযোগ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো) করেছে। তাদের করা এ কাজটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার ক্রয় কমিটির সভায় টিসিবির জন্য প্রায় ২০ টাকা কম দামে ভোজ্যতেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই বাজারে দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। ওনারা (ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী) আজকে যে দামে বাজারে তেল বিক্রি করছেন, সেটা থেকে প্রায় ২০ টাকা কমে আমাদের তেল দিয়েছেন। তাই বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে তেল দেওয়ার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষমতার আধিক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে উপদেষ্টা উত্তেজক প্রশ্ন আখ্যা দেন। তবে আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই (শাস্তিমূলক ব্যবস্থা) নেব। কেন নেব না? আইনগতভাবে যে ব্যবস্থাগুলো আছে সবগুলোই নেব।
অন্যদিকে, ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দাম বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় বা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি লাগে না।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, এটা তো তাদের বক্তব্য। তাদের ওই কথা আমরা স্বীকার করি না।
রমজানের বাজার নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পণ্য সরবরাহে কোনো বিঘ্ন হবে না। চিনি ও ছোলার দাম কমবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন চিনির দাম কমছে। ছোলার দামও কমবে। ডালের দাম কমেছে, ডিমের দাম কমেছে, আরও অন্যান্য কিছু জিনিসের দাম কমেছে। আমরা জিনিসটা বুঝবো, বুঝে যৌক্তিক যে সমাধান সেটাতেই যাবো। অযৌক্তিক কোনো সমাধান আমরা মানবো না।
