হোম জাতীয় ৮৫ ভাগ পৌরসভায় বেতন বাকি

৮৫ ভাগ পৌরসভায় বেতন বাকি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 123 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণের মধ্যেও কাজ করছেন বিভিন্ন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও তারা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। গত দুই মাস থেকে সাড়ে ৫ বছর পর্যন্ত বেতন বকেয়া রয়েছে সিংহভাগ পৌরসভার কর্মীদের। বেতন-ভাতা না পেয়ে সংস্থাগুলোর প্রায় ৩৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ে ধসসহ নানা কারণে অধিকাংশ পৌরসভার আয়ের উৎস না থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক বিবেচনায় পৌরসভাগুলো প্রতিষ্ঠা করার কারণে এর কাঠামো ভেঙে পড়েছে।

বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ৩২৮টি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে ৮৫ ভাগ পৌরসভায় ২ হতে ৬৫ মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে। এই সমস্যাটি দীর্ঘদিনের হলেও বর্তমানে নুতন করে যুক্ত হয়েছে করোনা পরিস্থিতি। ভাইরাসটির প্রভাবে বর্তমানে সবকটি সংস্থায় রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। এসব কারণে নাগরিক সেবায়ও প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছে পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তাই সংস্থাগুলোতে কর্মরত ৩৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তারা জানিয়েছেন- সড়কবাতি নিশ্চিত করা, সুপেয় পানি সরবরাহ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, স্বাস্থ্য সেবা, দুর্যোগে খাদ্যসহায়তা, আর্থিক সাহায্য, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ উন্নয়ন, রাজস্ব সংগ্রহ, নাগরিক সনদ প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ প্রায় ৭০ রকমের সেবা দিয়ে থাকে পৌরসভা। এসব সেবাসহ উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করার পর যে অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তা দিয়ে কোনোভাবেই বেতন -ভাতা দিতে পারেন না পৌর কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, পৌরসভায় স্থায়ী ও মাস্টাররোল মিলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৩৫ হাজারের বেশি। এতে জনপ্রতিনিধি সম্মানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে প্রয়োজন প্রায় ১ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। কিন্তু সংস্থাগুলোর সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হচ্ছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে পৌরসভাগুলোর রাজস্ব আয় দিয়ে বেতন-ভাতা, সম্মানী পরিশোধ না করে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন জনপ্রতিনিধিরা। এতে দিন যত যাচ্ছে, তত বকেয়ার পরিমাণ বাড়ছে। তবে সরকার পৌরসভায় অনুন্নয়ন খাতে বছরে একটি বরাদ্দ দিয়ে থাকে, কিন্তু তা বেতন-ভাতার এক ভাগেরও কম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন