আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা যাচাই করে জানতে পেরেছেন, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ৪৫০ জন সদস্য হারিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের রেডিও ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়ালেস বলেন, কিয়েভের উত্তরে বিমানবন্দরের দখল নিতে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ানদের এলিট স্পেৎনাজ বাহিনী। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের লড়াইয়ের কারণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনকে যেসব মারণাস্ত্র সহায়তা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ট্যাঙ্ক এবং বিমান ঠেকিয়ে দিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন ভেবেছিলেন যে, তিনি একজন মুক্তিদাতা, কিন্তু তার সেই গর্ব ধুলায় মিশে গেছে। কিয়েভের উপকণ্ঠে রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আক্রমণের দ্বিতীয় দিনেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ সৈন্যরা ঢুকে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
কিয়েভে এক টুইটে তারা জানায়, রুশ বাহিনী ওবোলন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সংসদ ভবন থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাগরিকদের মলোটভ ককটেল বানিয়ে রুশ সৈন্যদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
যখন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে সাহায্য চাইছেন সেদিন ভোর থেকেই কিয়েভ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তিনি আশঙ্কা করেন এতে সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ব অর্থনীতি।
কিয়েভ সিটি সেন্টার থেকে উত্তরে অবস্থিত ওবোলন আবাসিক এলাকার রাস্তায় রাশিয়ার ট্যাংক যেতে দেখা গেছে। বিবিসি লিখেছে, ওই ভিডিও যে ওবোলন এলাকার কোনো ভবন থেকে ধারণ করা হয়েছে, তা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।
কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস টুইট করেছেন, ‘গত ১০ মিনিটে কিয়েভে ছোট অস্ত্রের দুই দফা গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। কি ঘটছে, বোঝা অসম্ভব। তবে গুজব ছড়িয়েছে যে, রাশিয়ার সেনারা এর মধ্যেই শহরের মধ্যে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।’