হোম জাতীয় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তখন বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না, দরিদ্র মানুষ থাকবে না। প্রতিটি মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হবে।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত স্মরণকালের মহা ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশ কী? স্মার্ট বাংলাদেশ হলো: আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। এ জন্য আমরা উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। আমরা স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দিয়েছি। জেলায় জেলায় আমরা ট্রেনিং এবং ইনকিউবেশন সেন্টার করে দিয়েছি।’

আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), রোবোটিকস, ন্যানো টেকনোলজি, ডিজিটাল ল্যাব, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, হাইটেক পার্ক, ডিজিটাল ডিভাইস এবং সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে আমরা করে দিচ্ছি স্মার্ট বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের হবে স্মার্ট জনশক্তি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সমাজ।

‘অর্থাৎ স্মার্ট ম্যান পাওয়ার, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি। আমরা সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে গড়ে তুলব। সেখানে কোনো দরিদ্র থাকবে না, প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে, সেটাই আমরা চাই,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তার জন্য আমাদের অনেক কাজও করতে হবে। আমি ছাত্রলীগকে বলব, যেভাবে আহ্বান করেছিলাম ধান কাটতে, তোমরা ধান কাটতে গিয়েছ। তোমরা যেখানে পড়াশোনা কর, নিজের প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ক্লাসরুম থেকে শুরু করে যেখানে বসবাস কর, সে জায়গা নিজেরা পরিষ্কার করবে, অন্যদেরও শেখাবে। নিজের বাড়িতে, গ্রামের বাড়িতে যেন কোনো জমি অনাবাদি না থাকে। সেখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন করবে।’

ছাত্রলীগকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনাবাদি জমি চাষ করে ফসল ফলাবে। নিজেরা পরিবেশ রক্ষার জন্য ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করবে। উপকূলীয় অঞ্চলে যারা তারা আরও বেশি করে এ কাজগুলো করতে হবে। তাহলেই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার ফলে সারা দেশে মুদ্রাস্ফীতি। এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে যারা ভিকটিম তাদের খুব বেশি কষ্ট হয়। আমাদের গ্রামের মানুষ উৎপাদন করতে পারে, আমরা যদি প্রত্যেককে সেই উৎপাদনের দিকে দৃষ্টি দিই, তাহলে আমাদেরকে কখনও কারো কাছে খাবারের জন্য হাত পাততে হবে না।’

আমাদের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে টাকা দিয়ে কেনা খাদ্যশস্য দেশে আসতে দেয়া হয়নি। কৃত্রিম উপায়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই আমার সবসময় প্রচেষ্টা, আমাদের খাদ্য আমরা উৎপাদন করব।

খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সার্বিক উৎপাদন যদি দেখি তাহলে দেখব, বিএনপির আমলে মাত্র ২ কোটি মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হতো। এখন সেখানে ৯ কোটি মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন