স্পোর্টস ডেস্ক:
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বল হাতে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের গতি আর সুইংয়ে দিশেহারা আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। স্কোরকার্ডে ১৫ রান যোগ করতেই তারা হারিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২১ রান। ক্রিজে অপরাজিত আছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও হাশমতউল্লাহ শহীদি।
চট্টগ্রামে হোয়াইটওয়াশের মিশনে নেমেছে রশিদ-মুজিবরা। অন্যদিকে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে টাইগাররা। শুরুটা স্বাগতিকদের পক্ষেই। দলে ফিরেই যোগ্যতার প্রমাণ দেন শরিফুল। ইনিংস শুরুর তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরানের উইকেট। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইব্রাহিম। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিন ৬ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।
শরিফুল অবশ্য ইব্রাহিমকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি। একই ওভারের পঞ্চম বলে তিনি ফেরান ক্রিজে নামা রহমত শাহকে। রানের খাতা খোলার আগে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিমের হাতে।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া আফগানদের ষষ্ঠ ওভারে এসে আরও চাপ ফেলেন তাসকিন। তার করা শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকভাবে সংযোগ করতে পারেননি। বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। অনেকটা লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মুশফিক। আগের ম্যাচে ১৪৫ রান করা এ ব্যাটার এদিন ২২ বলে করেন মাত্র ৬ রান। গুরবাজের পর সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ নবিও। আবারও টাইগারদের নায়ক শরিফুল। নবম ওভারে করা তার দ্বিতীয় বলটিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নবি। জোরালো আবেদন সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেনি সফরকারীরা।
এদিকে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা স্বত্বেও এই ম্যাচে বাদ পড়েননি কেউই। বরং বড় পরিবর্তন এসেছে বোলিং আক্রমণে। এই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের জায়গায় দলে এসেছেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। ইনজুরিতে পড়া এবাদত হোসেনের জায়গায় খেলছেন তাইজুল ইসলাম
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদী (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব-উর রহমান, ফজলহক ফারুকী, আব্দুল রহমান, জিয়া-উর রহমান।