হোম অর্থ ও বাণিজ্য হিলিতে আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে

বাণিজ্য ডেস্ক:

চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের আমদানি। এতে কমেছে দাম। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দাম আর বাড়বে না বলে জানান আমদানিকারকরা।

চলমান পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে গত ৫ জুন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর পর থেকেই হিলি স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে দেশে আসতে শুরু করে ভারতীয় পেঁয়াজ। এতে হিলি বন্দরে টনপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।

এদিকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা ও পাইকাররা। আর আমদানিকারকদের দাবি, আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দাম বাড়বে না পেঁয়াজের।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজুর রহমান বাবু সময় সংবাদকে জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। এখন প্রতিদিনই ট্রাকবোঝাই পেঁয়াজ দেশে আসছে ভারত থেকে। প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের আমদানি।

বন্দরের আমদানিকারক নাফিস ইকবাল সাদ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা নাসিক জাতের পেঁয়াজ বন্দরে বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। ইন্দ্রো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি। একই জাতের ইন্দ্রো পেঁয়াজ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা ও নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক থাকলে কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আসলাম বলেন, বর্তমানে হিলি বন্দরে পেঁয়াজ কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এতে পাইকাররা অনেক স্বস্তিতে আছেন। আরেকজন পাইকার জানান, গত সপ্তাহে নাসিক ও ইন্দ্রো জাতের পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকার ওপরে ছিল। সেগুলো এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকায়। এমন দাম থাকলে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের ব্যবসা বেশ ভালো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ কর্মদিবসে ৩৬৪ ভারতীয় ট্রাকে ১০ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি বন্দর দিয়ে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন