আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তীব্র সমালোচনার মুখে কোরআন অবমাননার মতো কর্মকাণ্ড ঠেকাতে আইনি উপায় খোঁজার পাশাপাশি এমন কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছিল সুইডেন ও ডেনমার্ক। তবে এর মধ্যেই আবারও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) স্টকহোমে পার্লামেন্টের বাইরে দুই ব্যক্তি পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস। বার্তা সংস্থা এএফপি’র একজন সাংবাদিক ঘটনাটি দেখেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, ‘সালওয়ান মোমিকা এবং সালওয়ান নাজেম নামে দুই ব্যক্তি মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে লাথি মারে এবং এরপর ছুঁড়ে মেরে কোরআনে আগুন ধরিয়ে দেয়। জুনের শেষ দিকেও স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে একইভাবে তারা কোরআন পুড়িয়েছিল।’
এর আগে, গত ২০ জুলাই স্টকহোমে ইরাকের দূতাবাসের বাইরে একইরকম প্রতিবাদ করেছিল ওই দুই ব্যক্তি, যেখানে তারা কোরআন অবমাননা করে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সুইডিশ পুলিশই মোমিকা ও নাজেম নামের ওই দুই ব্যক্তিকে বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছে।
বিক্ষোভের সংগঠক সালওয়ান নাজেম এক্সপ্রেসেন পত্রিকাকে বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমি এটি (কোরআন) বারবার পোড়াব।’
এদিকে, এএফপি স্থানীয় পুলিশের কাছে বিক্ষোভের আবেদনের একটি অনুলিপি চাইলেও, তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
সুইডেন ও ডেনমার্কে একের পর এক কোরআন অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব। কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণাও দেয় কোনো কোনো দেশ। ডাক দেয়া হয় ওই দুই দেশের পণ্য বয়কটেরও।
এরপরই, প্রতিবাদের নামে পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানায় ডেনমার্ক।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্য দেশ, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অবমাননার মতো কর্মকাণ্ড ডেনমার্কের প্রতি বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে; যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
বিতর্কিত এসব ঘটনায় আন্তর্জাতিভাবে ডেনমার্কের মর্যাদাহানি হওয়ায় তা রোধে সংবিধান সংশোধন করে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একই পথে হাঁটার কথা জানায় সুইডেনও। তবে এর মধ্যেই সোমবার দেশটিতে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটল।