আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ বেড়ে চলায় জনজীবনে দেখা দিতে পারে চরম বিপর্যয়। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা। যার আশি শতাংশই হবে মধ্যপ্রাচ্যে। ল্যানসেটের সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপর্যয় এড়াতে দাবদাহ নিয়ে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে দেশগুলোকে। খবর আলজাজিরার।
তীব্র গরম ও খরায় বিপর্যস্ত ইরাক। এক সময় মাছে ভরপুর জলাশয় এখন শুকনো ভূমি। অনেকেই হারিয়েছেন জীবিকা। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, খরার কারণে গত চার বছরে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬২ হাজার মানুষ।
বাস্তচ্যুত হওয়া এক ইরাকি আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, পানি শুকিয়ে গেছে। আমাদের কাজ নেই। এ গ্রামেই ৩শ’য়ের বেশি বেকার যুবক আছে। এখানে অনেক মাছ থাকে, কিন্তু এখন সব ফাঁকা। অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে পানিও নেই এখানে।
কেবল ইরাকেই নয়, বিশ্বজুড়েই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে তাপমাত্রা। যার অন্যতম শিকার মধ্যপ্রাচ্য। বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ল্যানসেটের এক প্রতিবেদন বলছে, দাবদাহের কারণে মৃত্যুর ৮০ শতাংশই ঘটতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়। চলতি শতকে কেবল ইরাকেই মৃত্যু হতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের। এছাড়াও, তীব্র গরমে পুড়ছে ভারত, বাংলাদেশ, চীন, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ। দিনদিন উত্তপ্ত হচ্ছে ইউরোপও। বাড়ছে হিটস্ট্রোকসহ নানা অসুস্থতা।
প্রসঙ্গত, নেচার সাসটেইনেবিলিটি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে দেড় শতাংশ বাড়তে পারে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। যা তৈরি করতে পারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।