হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরায় জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রাণনসায়ের খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরায় জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রাণনসায়ের খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা শহরের রাধানগর প্রাণসায়র খালপাড়ে অনুষ্ঠিত প্রানসায়ের খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপন ও নাগরিক সমাবেশ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা।

ওয়াটারকিপারস-বাংলাদেশ, ব্রতী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, স্বদেশ, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল। মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুন্দরবন ও উপকুল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের দুলাল দেবনাথ, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না দত্ত প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ি দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন গ্যাসক্ষেত্র তৈরির ঘোষণা, এশিয়ার এলএনজি বাজারে আধিপত্য জোরদারে জাপানের আগ্রাসী কার্যক্রম, চীন ও জাপান কর্তৃক নৌবহরের সক্ষমতা বৃদ্ধি কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার কয়লাভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এ সকল কিছুই জলাবয়ু পরিবর্তনরোধে তাদের চরম উদাসিনতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিভিন্ন বৈশ্বিক ফোরাম ও সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতিতেও নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করাই যেন বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশগুলো প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যাবহার শুরু করতে হবে। সর্বস্তরে কয়লা জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। গ্যাস ও এলএনজি জলবায়ু ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় কোন সমাধান নয়, বরং সবুজায়ন-নবায়নযোগ্য জ্বালানিই ভবিষ্যৎ। গ্যাস ও এলএনজিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। দ্রুত ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন