হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরার ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ও ঘিসহ আটক-২

সাতক্ষীরার ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ও ঘিসহ আটক-২

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 26 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের একটি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরীর কারখানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল দুধ ও ঘিসহ দুই ভেজাল চক্রের সদস্যকে আটক করেছে। এসময় জব্দ করা হয় ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ ও ২০ লিটার ভেজাল ঘিসহ ক্রিম, সোডা, কাস্টিক, সয়াবিন তেল, পামওয়েল, জেলী ও দুধ তৈরির মেশিন। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষ।

পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের একটি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরীর কারখানায় একটি চক্র ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরী করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তি শনিবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি আভিযানিকদল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ ও ২০ লিটার ভেজাল ঘিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয় এ চক্রের অন্যতম সদস্য কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভেজাল দুধের কারবারি কমল ও দিলীপ এসব বিষয় স্বীকার করে তারা বলেন, এক কেজি দুধে ৫০০ গ্রাম দুধ ও ৫০০ গ্রাম পামঅয়েল দিয়ে তা বিক্রয় করা হয়। এছাড়া সয়াবিন তেল ও জেলীর সাথে মাখন মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘি বানাতেন তারা। দীর্ঘ ৭ বছর যাবত তারা এই ভেজাল ব্যবসা করে আসছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির সঙ্গে জড়িত বলে তারা স্বীকার করেন। এদের শনাক্ত করতে ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মিল্ক ভিটা ও ব্র্যাকের মতো নামকরা ব্র্যান্ডের বাজারে ভেজাল দুধ সরবরাহ করে আসছিল। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। আমরা শুধু অভিযানই নয়, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজও চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি এসময় বলেন, জেলা পুলিশ ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ধরনের অপরাধ মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। পুলিশ নিয়মিত এধরনের অভিযান পরিচালনা করবে।

তিনি সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকার আহবান জানান এবং কোনো ভেজাল চক্র বা তথ্য পেলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে অনুরোধ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন