হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরার দেবহাটার খলিশাখালির ১৩’শ ২০ বিঘা মৎস্যঘের জবরদখল ও লুটপাটে ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার দেবহাটার খলিশাখালির ১৩’শ ২০ বিঘা মৎস্যঘের জবরদখল ও লুটপাটে ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 12 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার দেবহাটার খলিশাখালিতে ১৩’শ ২০ বিঘা (৪৩৯.২০ একর) জমির মৎস্যঘের স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা বারবার জবরদখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আইডিয়ালের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, জমি মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জমি মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ডা. নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারুলিয়া মৌজার ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি সিএস ১৮১২ নং খতিয়ানে ১১১৭৫ দাগসহ ২৭ টি দাগের উল্লেখিত জমির সিএস খতিয়ানের মালিক চন্ডিচরণ ঘোষ, সেখান থেকে ১৯৩৭ সালের ৫ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল ৭৪৯,৭৯৩ ও ৭৯৪ নং দলিলের মাধ্যমে এবং কোর্টের রায় অনুযায়ী নিলাম খরিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে মালিক হলেন তেজেন্দ্র নাথ চৌধুরীগং। পরবর্তীতে কলিকাতা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের বিগত ১৯৫৩ সালের ৪ মার্চ তারিখে ৬৯৪ নং বিনিময় দলিল মূলে মালিক হলেন কাজী আব্দুল মালেকগং। উক্ত সম্পত্তি ২৯৬২ থেকে ২৯৮০ পর্যন্ত মোট ১৯ টি খতিয়ানে কাজী আব্দুল মালেকগংসহ প্রজাদের নামে এসএ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এসএ রেকর্ড পরবর্তী কাজী আব্দুল মালেকের ওয়ারেশগণ থেকে ক্রমিক হস্থান্তর সূত্রে বর্তমান মালিকগন দলিল মূলে ক্রয় করত: মিউটিশন করেন এবং খারিজ খতিয়ানের দ্বারা মালিক হন এবং নিয়মিত সরকারের করাদি পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছেন।

পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট জরিপে মাঠপর্চা এবং প্রিন্টপর্চার মাধ্যমে গেজেট প্রকাশিত হয় এবং সে অনুযায়ী সরকারের হালনাগাদ অর্থাৎ ১৪৩০/১৪৩১ সাল পর্যন্ত করাদি পরিশোধসহ ভোগদখলে আছেন। বর্তমানে উক্ত জমির মালিক প্রায় ২০০ জন। উক্ত সম্পতি কোন সময় শত্রু সম্পতি বা ভেস্টেট সম্পত্তি হিসাবে গন্য হয়নি। তালিকায় উক্ত সম্পতি “ক” বা “খ” তপশীলভ‚ক্ত হয়নি। এসএ রেকর্ড পরবর্তী মোট সম্পত্তির মধ্যে ৮-১০ একর সম্পত্তি এসএ রেকর্ড মালিকগণ সিলিং বর্হিভ‚ত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের নিকট সারেন্ডার করেন। যা পিও ৯৮ এর আওতায় সরকার খাস সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর দারিদ্র পরিবারের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। বিএস রেকর্ডে তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া উক্ত জমির মধ্যে মাত্র ১২.৫৫ একর জমির মালিকদের পানি নিস্কাশনের জন্য খাল হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে, তবে তা কালের প্রবাহে বিলীন হয়ে জমিতে পরিনত হয়েছে। কিছু অর্থসম্পদ লোভী ভূমি দস্যু, কথিত ১/২জন সংবাদকর্মী ও আইনজীবি লোভের বর্শবর্তী হয়ে তাদের উস্কানীতে গত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতের আধারে মকরম শেখ, আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজী, কামরুল ইসলাম, রিপন হোসেন, গোপাল ঢালী, শরিফুল ইসলাম, বাবলু গাজী, পুটু, রবিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম কালু, আব্দুল গফুর, এসএম মহিউদ্দিনসহ আরও ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের মৎস্য চাষকৃত জমি জবরদখল নেয় এবং কোটি টাকার উর্দ্ধে জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতারদের ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং নিঃস্ব করে দেয়। বর্তমান আবারো ওই জমি দখলে নিতে এবং চাষকৃত মাছ লুট করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে উক্ত সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতাগনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীর কাছে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।

তিনি এসময় খলিশাখালি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত সন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জমির মালিক কাজী গোলাম ওয়ারেশ, আনসার আলী, আব্দুল মাজেদ, আব্দুল মজিদ, রুহুল আমিন, এবাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল গফুর, আনারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, আব্দুল গফ্ফারসহ লিজ গ্রহিতারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন