নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের পর বুধবার দুপুরের প্রবল জোয়ারের পানির তোড়ে তা আবারও ভেঙে গেছে। এতে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে দুই শতাধিক মৎস্য ঘের ও শত শত বিঘা ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে দয়ারঘাট, দক্ষিন জেলেখালী, জেলেখালীসহ আশাশুনি সদরের ইউনিয়নের চারটি গ্রামের শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রানি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানকার প্রধান প্রধান সড়কের উপর দিয়ে। বরাদ্দের পরও মূল বাঁধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় আবারও ভাঙ্গনের কবলে পড়তে হয়েছে বলে দাবী ভুক্তভোগীদের।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ঘূর্নিঝড় আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাড়ানোর আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারনে আবারও প্লাবিত হলো আশাশুনির চারগ্রাম। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসির মাধ্যমে দ্রতই মেরামত করা হবে এ রিং বাঁধ।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুপার মুন পূর্নিমার গোনে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে আঘাত হানে দয়ারঘাট বেড়িবাঁধে। এতে চারটি পয়েন্টে ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে গেছে আশাশুনিবাসির প্রধান আয়ের উৎস মৎস্য ঘের। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। আজ সকাল থেকে স্বোচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করলেও দুপুরের জোয়ারের তা আবারও ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসির দাবি, ত্রান নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন জানান, বার বার বলার পরও দয়ারঘাটের দুটি পয়েন্টে ৯ মাসে বাঁধ নির্মান সম্ভব হয়নি। আর এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাকে দায়ি করেন এই জন প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসির মাধ্যমে দ্রæতই মেরামত করা হবে এ রিং বাঁধ। তিনি আরো জানান, জায়কার জন্য এ বাঁধ মেরামতে দেরী হলেও জরুরী ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার কাজের টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে বলে তিনি আরো জানান।
উল্লেখ্য ঃ গত ২০ মে রাতে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা। ##