রাজনীতি ডেস্ক:
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। তবে কারাদণ্ড হলেও তাকে কারাগারে যেতে হয়নি, পেয়েছেন এক মাসের জামিন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রায়ে, একটি ধারায় ৬ মাসের সাজার পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। একই মামলায় অপর একটি ধারায় ২৫ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
তবে আপিল আবেদনের শর্তে তিনিসহ অন্যরা জামিন পান। রায় ঘোষণার পর জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। পরে আপিল আবেদনের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। সেই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিলের সময় বেঁধে দেন আদালত।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন বলেন, এক বছরের কম সময়ের সাজা হলে আপিল ইস্যুতে জামিন দেয়া হয়। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আদালতে ১০৯টি কনড্রাকশন দিয়েছি, ১০৫টি সাজেশন দিয়েছি। কোনো কিছু গ্রহণ হয় নাই। আমরা তাই আপিল করবো।
রায়ের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নজিরবিহীন অপূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের জাজমেন্টের লাইনে লাইনে ভুল ছিল। পরে তিনি শুধু ছোট করে আদেশ শুনিয়েছেন। কিন্তু নিয়ম তা নয়। এটা আইনের বরখেলাপ। ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি।’
এদিকে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. ইউনূস বলেন, মনে একটা কষ্ট থেকে গেল, যে দোষ আমি করিনি, সে দোষে শাস্তি দিলো। আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম।
বিষয়টিকে কেউ ন্যায়বিচার বলতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমার কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা এটা দোষ হিসেবে গ্রহণ করলাম। এখন এই দোষ থেকে কীভাবে মুক্তি মিলবে তা আমাদের আইনজীবীরা দেখবেন বলে জানান তিনি।