হোম খুলনাযশোর সাগরদাঁড়ি মধুমেলার ডাক তিনগুণ বেশী টাকায় বিক্রির তৎপরতা, ইউএনও বরাবর অভিযোগ

সাগরদাঁড়ি মধুমেলার ডাক তিনগুণ বেশী টাকায় বিক্রির তৎপরতা, ইউএনও বরাবর অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 253 ভিউজ

পরেশ দেবনাথ, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :

সাগরদাঁড়ি মধুমেলার ডাক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় তিনগুন অধিক মূল্যে বিক্রয় করে মধুপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তরিকুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বুধবার (১০ জানুয়ারি-২৪) লিখিত আবেদন করেছেন।

কেশবপুর মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির জন্মস্থান কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে বসছে মধুমেলা। অন্য বছরগুলোতে ৬ দিনব্যাপী মধুমেলা চললেও এবছর চলবে ৯ দিন ব্যাপী। তবে প্রতিবছরের মতো এবছরও ক্ষমতাসীন দলের ব্যানারে থেকে সুবিধাবাদী একটি চক্র সরকারি উন্মুক্ত ডাকে অংশ নিয়ে ‘মানানসই মূল্যে’ মেলার মাঠ কিনে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রির পাঁয়তারা শুরু করেছেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ উন্মুক্ত ডাকে সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত সাইকেল গ্যারেজ বাদে (শিশু বিনোদন, সার্কস, কাঠ মেলা, জাদু প্যান্ডেল, মৃত্যু) ১৯,০০,০০০/- (উনিশ লাক্ষ) টাকায় ক্রয় করে। যা বর্তমানে সিন্ডিকেট করে প্রায় তিনগুণ অধিক মূল্যে বিক্রয় করার জন্য আবারো উন্মুক্ত ডাক দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ম বহির্ভূত। সাইকেল গ্যারেজটি জনাব কামাল হোসেন ২,৬৪,০০০/- (দুই লক্ষ চৌষট্টি হাজার) টাকায় ডাকে পায়।

পরবর্তীতে উক্ত সাইকেল গ্যারেজটি প্রায় ৭,০০,০০০/- (সাত লক্ষ) টাকায় জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে দিয়েছে। এভাবে প্রায় তিনগুন অধিক মূল্যে সকল বিনোদন প্যান্ডেল গুলি বিক্রয় হলে দর্শনার্থীদের উপর বিশাল চাপ পড়বে। পাশাপাশি সরকার বিশাল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। সে কারণে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মধুমেলা ২০২৪ বিক্রয়কারী যাহাতে প্রায় তিনগুন অধিক মূল্যে বিক্রয় করে মধুপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করিতেছি।

এ বিষয়ে মেলা ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, ‘আমি কেমন মানুষ সেটা জেলাব্যাপী চেনেন, এমন কাজ আমি করি না।’ ‘ইউনিয়নে যেসব ছেলেপুলে আমার রাজনীতি করে তাদেরকে মেলার প্যান্ডেলগুলোর দায়িত্ব দিয়ে বলেছি, কে কোনটা চালাবি চালা, আমি সরকারের কাছ থেকে যা দিয়ে কিনেছি সেই টাকা ফেরত দিবি।

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তুহিন হোসেন বলেন, মেলার মাঠ ইজারার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, কোনকিছু সাবলিজ দেওয়া যাবে না। ফলে এমন কিছু করার সুযোগ নেই। অভিযোগের বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন