স্পোর্টস ডেস্ক:
ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর আরও বড় দুঃসংবাদ এসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এদিন ম্যাচ শেষ না করেই মাঠ ছাড়েন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। এরপর জানা যায়, হাসপাতালে গেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
মূলত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় মাসল ক্র্যাম্পে (মাংসপেশিতে টান) পড়েন সাকিব আল হাসান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিলেও রাচিন রবীন্দ্রের একটি বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বাঁ-পাশের উরুতে চোট পান এই অলরাউন্ডার। এ সময়ে মাঠেই সাকিবকে খানিকটা সেবা শুশ্রূষা করেন টাইগার ফিজিও। এরপরই হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাকিব।
এদিকে সাকিবের পেশিতে চিড় পরার কারণে পরের ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা জেগেছে। আগামী ১৯ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজেরা। এর আগে সাকিবকে পুরোপুরি ফিট পাওয়া যাবে কি না, তাই এখন বড় প্রশ্ন।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে কে জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলাবেন, সেটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। মূলত সাকিবের হঠাৎ ইনজুরির খবরের পর থেকেই এই গুঞ্জন শুরু হয়।
এবার সাকিবের ইনজুরি প্রসঙ্গে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষ্য, পুনেতে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ব্যাটিং অনুশীলন করবেন সাকিব আল হাসান। এরপরই ভারতে বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
তিনি আরও যোগ করেন, ধীরে ধীরে হাঁটা ও মাঠে দৌড়ানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। যেহেতু সে গত ম্যাচে রান নিতে গিয়েই ব্যথাটা পেয়েছে। কালকে হয়তো এটা দেখবে। সাকিব যেহেতু চোট পাওয়ার পরেও ব্যাটিং ও ১০ ওভারের কোটার বোলিং করেছে। যদি সে নিজেকে কমফোর্টেবল মনে করে তাহলে খেলবে। সাকিব চাইছে খেলতে। আমরা চাই না (তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে)। এটা ডিপেন্ড করে ওর শতভাগ ফিটনেসের ওপর।
সুজন আরও বলেন, টুর্নামেন্টের ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে; আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। ডাক্তার-ফিজিওদের ওপর এটা নির্ভর করছে। কোচের মতামতের ব্যাপার না এটা। আমরা চাই না যে এটা খেলে সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক বা লম্বা সময়ের জন্য বিপদে পড়ুক। আমরা চাই, সাকিব যদি চায় এবং ফিজিওদের মত থাকে তাহলে সে খেলবে। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয়; তাহলে আমরা খেলব।
এর আগে, সাকিবের চোটের বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ব্যাটিং করার সময় বাঁ-পায়ের পেশিতে অস্বস্তিবোধ করছিলেন সাকিব। এরপরও তিনি ফিল্ডিং করেন এবং নিজের ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন। ম্যাচের পর তার এমআরআই স্ক্যান করানো হয়েছে এবং আগামী ম্যাচের জন্য আমরা তার ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করব। আমরা তার প্রতিদিনের অগ্রগতি মূল্যায়ন করব এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।