জাতীয় ডেস্ক:
ঝালকাঠিতে জ্বালানি তেলের ট্যাঙ্কারে দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণের পর এখনও সরিয়ে নেয়া হয়নি বিধ্বস্ত জাহাজ। অপসারণ করা হয়নি পোড়া তেল। সেই সঙ্গে ট্যাঙ্কারের বিভিন্ন অংশে লিকেজ হয়ে ডুবে যাওয়ারও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। নদীর দুপাড়ের কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে তাই এখন সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে গত সোমবার দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণের পর ট্যাঙ্কার সাগর নন্দিনী-২ এর ৪ লাখ লিটার তেল পুড়তে থাকে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। ফায়ার সার্ভিসের হার না মানা অভিযানে আগুন নিভে গেলেও বিধ্বস্ত ট্যাঙ্কারের চেম্বারে এখন ভাসছে পোড়া তেল। দুদফার বিস্ফোরণে বিভিন্ন স্থানে লিকেজ সৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে তেল ভেসে যাওয়ার সঙ্গে ট্যাঙ্কারটি ডুবে যাওয়ারও শঙ্কায় পড়েছে।
দুটি বাল্কহেড বেঁধে ট্যাঙ্কারটিকে কোনোমতে নদীতে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে নতুন করে বিস্ফোরণ এবং ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় দ্রুত পোড়া তেল উত্তোলন করে ট্যাঙ্কারটি সরিয়ে নিতে সুগন্ধা নদীপাড়ের হাজারো পরিবার দাবি করছেন।
নতুন করে বিস্ফোরণের ঝুঁকি নেই জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী বলেন, খুব শিগগিরই পোড়া তেল সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, গত পয়লা জুলাই সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় জ্বালানি তেল নিয়ে ট্যাঙ্কার সাগর নন্দিনী-২ এর বিস্ফোরণ হলে ৪ জন মারা যায়। মাত্র দুদিন পর ওই একই ট্যাঙ্কারে দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণে রাত ভর জ্বলতে থাকে ৪ লাখ লিটার পেট্রোল। আর এতে দগ্ধ হয়ে আহত হন ১৫ জন।