বাণিজ্য ডেস্ক :
ভারত থেকে আসা পঞ্চাশটিরও বেশি বিদ্যুৎ খাতের সরঞ্জামবাহী ট্রাক নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আমদানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। বন্দরে আধুনিক ক্রেন এবং জায়গার অভাবে ট্রাক থেকে পণ্য খালাস হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে বন্দর কর্তৃপক্ষেরও নেই কোনো উদ্যোগ। এতে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের বড় অংশই ভারত থেকে আনা হয়। তবে বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি আর ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বন্দরে জায়গার অভাবে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এসব পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে আবার মাসাধিক কাল ধরে ক্রেনের অভাবে আটকা পড়ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ দিয়েও সমাধান মিলছে না। তবে ঠিকাদার তাদের দুর্বলতা স্বীকার করে বলছেন, প্রয়োজনের চেয়ে তাদের ক্রেন ও ফর্কক্লিপের স্বল্পতা রয়েছে। সমাধান করতে বন্দরের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কাজ হচ্ছে না।
আমদানিকারকদের অভিযোগ, মাসের পর মাস এগুলো বন্দরে পড়ে থাকায় বাড়ছে ভোগান্তি এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্যয়ও। একই সঙ্গে বন্দর ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ করেও মিলছে না সমাধান।
উন্নত মানের ক্রেন না থাকায় ভারী পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না বলে জানান ট্রাকচালকরা। তারা বলেন, দুর্বল ক্রেনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘একটি পণ্য ওঠানোর জন্য দুটি ক্রেন পাশ থেকে ধরা হয়, এটি দেখলেও লজ্জা লাগে।’
বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার পণ্য খালাসের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দাবি করা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ বলেন, ‘ইকুইপমেন্টের যে ঠিকাদার আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তবে এখনো আমরা কোনো সুরাহা পাইনি।’
উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরে ৩০টি ক্রেন-ফর্কক্লিপের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১৭টি। এসব পুরোনো হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময় অচল হয়ে পড়ে থাকে।