হোম অন্যান্যসারাদেশ শ্যামনগরে নান্দনিক প্যান্ডেল,আলোকসজ্জা আর ডিজিটাল প্রতিমা প্রদর্শন হবে না। খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া’র প্রস্তুতি”

শ্যামনগরে নান্দনিক প্যান্ডেল,আলোকসজ্জা আর ডিজিটাল প্রতিমা প্রদর্শন হবে না। খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া’র প্রস্তুতি”

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 71 ভিউজ

মধুসূদন মন্ডল,

সাতক্ষীরা জেলার উংসবের নগর শ্যামনগর উপজেলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবে এবার হচ্ছেনা নান্দনিক প্যান্ডেল,আলোকসজ্জা ও ডিজিটাল প্রতিমা প্রদর্শন। তবে ঐতিহ্যবাহী খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মহা মিলনমেলা ও বিজয়ার পূর্ব প্রস্তুতি চলছে। সারাবিশ্বে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৬৫টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয়া দূর্গা পূজা।

আজ ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শুভ ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে মহামায়া,মহাশক্তি,আদ্যশক্তি,মহিষমর্দিনী,মহিষাসুরনাশিনী মা দূর্গা দেবীর পূজা শুরু হবে এবং ২৬ অক্টোবর সোমবার দশমীবিহিত পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দূর্গা দেবীর পূজার সমাপ্তি ঘটবে।এবার দেবী দুর্গা মা আসছেন নৌকায়,যাবেন ঘোড়ায় চড়ে।বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বাবু মধুসূদন মন্ডল শারদীয়া শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,শ্যামনগর উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়নে এবার ৬৫টি মন্ডপে শারদীয়া দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়ন অনুযায়ী পূজার সংখ্যা হল ভূরুলিয়া-৩টি, কাশিমাড়ী-২টি, শ্যামনগর-৯টি, নূরনগর-৩টি, কৈখালী-৫টি, রমজাননগর-৭টি, মুন্সিগঞ্জ-১০টি, ঈশ্বরীপুর-৪টি, বুড়িগোয়ালিনী-৯টি, আটুলিয়া-৯টি, পদ্মপুকুর-২টি ও গাবুরা-২টি।শারদীয়া দূর্গোৎসব উপলক্ষে এবার প্রতিটি মন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল সরকারি সহায়তা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের মান্যবর নির্বাহী কর্মকর্তা আ নম আবু জর গিফারী।করোনার কারণে এবারে দূর্গোৎসবের কোন সাজ সাজ রব নেই বলে মন্ডপ কর্তৃপক্ষ জানান।
ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার কারণে দূর্গোৎসব উপলক্ষে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বিক্রী নেই বললেও ভুল হবে না। মন্দির কমিটি ও পূজা মন্ডপ কর্তৃপক্ষ বলেন,করোনার কারণে সরকার ও প্রশাসন নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।সন্ধ্যা ও রাত্র ৯ টার মধ্যে পূজা মন্ডপগুলোতে কোন দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না বলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপগুলোতে সকল দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্হ্যবিধি মেনে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।ডিজে সংগীত ও নাচগান উতসব না করতে বলা হয়েছে।
অন্যান্য বছরগুলোর মত এবারও সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।সাতক্ষীরার শ্যামনগর জুড়ে প্রতি বছর বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলোতে দেখা যায় নান্দনিক প্যান্ডেল,আলোকসজ্জা- লাইটিং ও ডিজিটাল প্রতিমার সাজসজ্জার প্রতিযোগিতা।বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ হরিনগর,কুলতলী,রানী গ্যারেজ,বুড়িগোয়ালিনীর দূর্গাবাটী,আড়পাংগাশিয়া,আটুলিয়ার নওয়াবেকী বড়কুপট,আদু মন্ডল,পদ্মপুকুর কামালকাটী,শ্যামনগর হরিতলা,গোপালপুর,চন্ডিপুর,রমজাননগর মানিকখালী,ঈশ্বরীপুর নান্দনিক প্যান্ডেল,আলোকসজ্জা,লাইটিং,ডিজিটাল প্রতিমা প্রদর্শনে ব্যাপক প্রতিযোগিতা ও ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।
পরিতাপের বিষয় করোনা মহামারীর কারনে এ বছর সরকার নির্দেশিত নিয়মাবলীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতেই হচ্ছে।এছাড়া শ্যামনগরেরে বুড়িগোয়ালিনী,আটুলিয়া ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রতিমা বিসর্জনের মহা মিলনমেলা ও বিজয়া অনুষ্ঠিত হবে।অনেকেই আবার বলছেন যে করোনা মহামারীর কারনে এবারও খোলপেটুয়া নদীর মহা মিলনমেলা ও বিজয়া নাও হতে পারে।কিন্তু যুব সমাজ ও প্রতিমা বিসর্জনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আয়োজকদের মাঝে চলছে নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মহা মিলনমেলা ও শুভ বিজয়ার জোর পূর্ব প্রস্তুতি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন