আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের নতুন সদস্য কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো। সরকারের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দেখতে পারাটা চমৎকার হবে বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন অ্যান্ড্রু গারবারিনো। এ সময় বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে দিতেও অঙ্গীকার করেন তিনি। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও কাজ করার কথা জানান মার্কিন এই কংগ্রেসম্যান।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের নতুন সদস্য হয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো। কংগ্রেশনাল এই ককাস বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার প্রবীনতম রাজনীতিক মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন শুক্রবার ককাসের নতুন এই সদস্যকে সংবর্ধনা জানায়।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সম্পর্কে কংগ্রেসম্যানকে অবহিত করেন কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা। এ সময় বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ উল্লেখ করে অ্যান্ড্রু গারবারিনো বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।’
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনেও বর্তমান সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেল ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জেনেছি আমি। জানতে পেরেছি, আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’
গারবারিনো আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন করেছে তা বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের কাছে এক বড় দৃষ্টান্ত।
আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ। কমিউনিটি নেতারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক্ষেত্রে ‘একপেশে’ ভূমিকা নিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ব্যাপক সহায়তা দিলেও বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দিতে আগ্রহী নয়। কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ যেন সবক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার পায়, এজন্য কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
আগামী নির্বাচনের আগে অ্যান্ড্রু গারবারিনো বাংলাদেশ ভ্রমণের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা তাকে স্বাগত জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।