হোম জাতীয় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার হবে আগামী প্রজন্মের ঠিকানা: পলক

জাতীয় ডেস্ক :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কিশোরগঞ্জের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার হবে আগামী প্রজন্মের ঠিকানা।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) কিশোরগঞ্জে সময় সংবাদকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জে নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ উদ্যোক্তা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ট্রেনিং সেন্টারটি কিশোরগঞ্জবাসীকে উপহার দিয়েছেন।

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্পটি ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেইনচাইল্ড উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির বদান্যতায় ৫ একর জমি বিনামূল্যে পেয়েছি, জমি কিনতে হয়নি। তিনি এ প্রকল্পটি উদ্বোধন করে আমাদের কৃতার্থ করেছেন। এটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের তরুণ-তরুণীরা নিজের শহরে থেকে এসএসসি-এইচএসসি পাস করে এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেন আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।

আগামী দুই বছরের মধ্যে এ ট্রেনিং সেন্টার চালু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখান থেকে ৬ মাস ও এক বছরের ট্রেনিং নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবপেজ ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্টসহ নানা বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি শিক্ষা নেবে। এতে করে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একই সাথে স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের পুঁজি দেওয়া হবে। তারা নিজেরাই স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করতে পারবে। এজন্য আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারে ৪৮ হাজার স্কয়ার ফিটের অফিস স্পেস থাকবে।

২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মহিনন্দ এলাকায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থানে ৫ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড। সাত তলা এ ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণে খরচ হবে ৯৫ কোটি টাকা।

বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণ কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে মোনাজাতের পর কয়েকটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ডা. জাকিয়া নূর লিপি এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন