হোম অর্থ ও বাণিজ্য শীতের সবজির দাম কম, বাড়তি মাছ-আলু-পেঁয়াজের

বাণিজ্য ডেস্ক:

রাজধানীতে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও বাড়তি মাছের দাম। এদিকে ডিম-মুরগি আর গরুর মাংসের দাম কমার সঙ্গে কমে গেছে বিক্রিও। এ ছাড়া দামে আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে আলু-পেঁয়াজ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজার শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। বিক্রেতারাও জানিয়েছেন দাম কমতির খবর। বেশির ভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকার নিচে।

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ নিয়ে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। দামও কম রয়েছে। মুলার কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতিকেজি শিম ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

এদিকে সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্যের কথা জানালেন ক্রেতারাও। এক ক্রেতা বলেন, সবজির বাজার বর্তমানে মোটামুটি একটু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দাম আগের চেয়ে একটু কম।

তবে মাছবাজারে ঢুকতেই হারিয়ে গেল ক্রেতার স্বস্তি। বিক্রেতারা জানান, নদী কিংবা চাষ সরবরাহ কমের কারণে সব মাছের দাম বেড়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) কারওয়ানবাজারে প্রতিকেজি বড় আকারের রুই ৬০০ টাকা, ছোট আকারের রুই ৪৫০ টাকা, বড় কাতল ৫০০ টাকা, ছোট কাতল ৪০০ টাকা, দেশি বোয়াল ৮০০ টাকা এবং বড় পাবদা ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এক বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে মাছের দাম বেশি। প্রায় সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি। মাছের সরবরাহও কম। ক্রেতাও কম।

এদিকে বাজারে বাড়তি ইলিশের দামও। এক বিক্রেতা বলেন, কম পরিমাণে মাছ বাজারে আসছে। তাই ইলিশের দাম অনেক বেশি। কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি। আজ এক কেজির মাছ ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিযোগিতার বাজারে দাম কমেছে ডিম, মুরগি আর গরুর মাংসের। তবে একই সঙ্গে কমে গেছে বেচাকেনাও। যদিও দাম কমতির খবর শুনে প্রত্যাশা মিটছে না ক্রেতাদের।

এ বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, ডিম আগের দামে ফিরে এসেছে। তাই ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস নিয়ে এক ক্রেতা বলেন, এখনও গরুর মাংসের কেজি ৭২০ টাকাই রয়ে গেছে। অন্যদিকে গরুর মাংসের দাম বেশি থাকার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এক বিক্রেতা বলেন, বিক্রি বাড়েনি। কারণ বাজারে ক্রেতা নেই। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা।

বাজার যখন ঘুরছে গোলকধাঁধার চক্করে তখন আবার সরবরাহ সংকটে আলু ও ভারতীয় পেঁয়াজ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গেছে দাম।

পেঁয়াজের দামের চিত্র তুলে ধরে এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ ধরে একই দামে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ১১০ থেকে ১১২ টাকা। আবার ভারতীয় পেঁয়াজের দামও বেশি। পর্যাপ্ত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। ২-৩ দিন ধরে প্রতিকেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি। বর্তমানে প্রতিকেজি ৯৬ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আলুর দাম নিয়ে এক বিক্রেতা বলেন, আলু দাম ৩ টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজির দাম ৩৮ টাকা। কারণ, চাহিদা বেশি, কিন্তু বিপরীতে সরবরাহ কম।

তবে দাম বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার দর। বর্তমানে কারওয়ানবাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, আটাইশ ৫২ থেকে ৫৪ টাকা এবং নাজির শাইল ৭৬ থেকে ৮৪ টাকায়।

এদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ভোক্তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন