শিক্ষা ডেস্ক:
রাজশাহীর শাহ্ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জিল্লার রহমান ও একই কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ওই কলেজে অধ্যয়নরত ৪২ জন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হতে চলেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ক্ষতিপূরণসহ অন্যকোনো কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দিয়ে পুনরায় তাদের শিক্ষা জীবন ফিরে পাবার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে কলেজ শিক্ষার্থীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না জানান, শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা পত্রিকায় চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে তারা ভর্তি হন। ওই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কিন্তু ভর্তির দুই বছর পার হলে তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন কলেজটি বিএমডিসির অনুমোদন নাই।
এক কথায় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি ভুয়া। তারা কৌশলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমতাবস্থায় শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষার্থে অতি দ্রুত নবায়ন যুক্ত মেডিকেলে মাইগ্রেশনের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবসায়ী প্রতারক মনিরুজ্জামান স্বাধীন ও জিল্লার রহমানের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আর্থিক, মানসিক এবং সার্বিকভাবে বিপর্যন্ত। আমাদের ৪২ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পথে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আদালতে পৃথক পৃথকভাবে ২১ টি মামলা দায়েরসহ রাজশাহী জেলা প্রশাসক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সচিব স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার মাধ্যমে অবগত করে। তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা পায়নি।