জাতীয় ডেস্ক:
শপথ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি সংবিধান ও আইন সংরক্ষণ করব। রাগ অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি সমান আচরণ করব।’ একজন বিচারককে এই শপথ নিতে হয়। একজন বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হওয়া পর্যন্ত চারবার শপথ নিতে হয়।
ওবায়দুল হাসান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত চারবার শপথ নিয়েছি। কখনও শপথের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হইনি, ভবিষ্যতেও হব না। শপথ থেকে বিচ্যুত না হওয়াই একজন বিচারকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনার নিজ এলাকায় এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আবারও এই অঙ্গীকার করেন।
মোহনগঞ্জে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোহনগঞ্জ নাগরিক কমিটি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় ওবায়দুল হাসান শাহীনকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেয়।
স্বাধীনতার আগে ছোটবেলার নিজের এলাকার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ছোটবেলায় কত ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছি। এখন কত উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন হত না যদি দেশ স্বাধীন হত। যদি বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে না যেতেন। কাজেই বলেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
এসময় তিনি সামনে উপবিষ্ট নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন বিগত সময়ে ২৪ জন বিচারপতি হয়েছেন সকলেই পুরুষ। তোমরা ভালো করে লেখাপড়া করো, আগামীতে নারী বিচারপতি হতে হবে।
মোহনগঞ্জের পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেত্রকোনা-৪ আসনের (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) সংসদ উপ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবির, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন বক্তব্য দেন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মশিউর রহমানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছয়াশি গ্রামে। তার ছোট ভাই নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল হাসান প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।