হোম জাতীয় লুসি হল্ট অসুস্থ, দরকার সার্বক্ষণিক সেবিকা

লুসি হল্ট অসুস্থ, দরকার সার্বক্ষণিক সেবিকা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 111 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

৯৪ বছর বয়সী লুসি হল্ট নানা রোগে আক্রান্ত। এরই মধ্যে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) হঠাৎ পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পেয়েছেন। এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

জানা যায়, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে হঠাৎ তার রুমে পা পিছলে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান লুসি হল্ট। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসককে খবর দেয়া হয়। পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানান অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন হালদার।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে দেখতে নগরীর অক্সফোর্ড মিশনে ছুটে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এক পোস্টে লেখেন, ‘আজ মনটা খুব খারাপ। সকালে বরিশাল এসে বিকেলে সিস্টার লুসি হল্টের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বাংলার মাদার তেরেসা খ্যাত লুসি ৬৪ বছর বয়সে এ দেশকে ভালোবেসে আজ ৯৪ বছরে সম্পূর্ণ একা। পড়ে গিয়ে বাম চোখের উপরে কেটে আঘাত পেয়েছেন। লুসি এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাকে দেখভাল করার জন্য ফুল টাইম নার্সিং সেবা দরকার। জানি না এভাবে আর কতদিন সুস্থ থাকবেন। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

বরিশাল এপিফানি অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন বলেন, ‘লুসি এখন আশঙ্কামুক্ত। চিকিৎসক জানিয়েছেন বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি লুসির। তবে ৯৪ বছর বয়সে নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। আশা করি দ্রুত লুসি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন। তার দেখভালের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

১৯৩০ সালে জন্ম নেয়া ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হল্টের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাওয়ার দাবি ও তার জীবনী নিয়ে ২০১৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর প্রথম ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শুরু করেন বরিশালের সাংবাদিক অপূর্ব অপু। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অপূর্ব অপুর উদ্যোগে লুসি হল্টকে নাগরিক সংর্বধনা দেয়া হয়। খবরটি ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লুসিকে প্রথমে ভিসা ফি মওকুফ যুক্ত মাল্টিপল পাসপোর্ট এবং পরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন।

এরপর ২০২৩ সালের গত ২৯ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা লুসি হেলেন ফ্রন্সিস হল্টকে দেখতে বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে ছুটে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।

গোটা জীবনটাই লুসি বাংলাদেশের মানব কল্যাণে কাজ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরের ফাতেমা হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে আহতদের সেবা দেয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি লিখে বাংলাদেশের সপক্ষে স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন লুসি হল্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন