জাতীয় ডেস্ক :
বছরের শেষ সূর্যাস্তের সঙ্গেই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসাব নিয়ে বিদায় নিচ্ছে আরও একটি বছর। পড়ন্ত বিকেলে সবার দৃষ্টি যেন সূর্যাস্তের দিকে। বিশাল সাগরের বুকে ক্ষণিকের বছরের শেষ ডুবন্ত সূর্যের দৃশ্য দেখে তৃপ্ত ভ্রমণপিপাসুরা। আর সূর্যাস্তের সঙ্গেই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসাব নিয়ে বিদায় নিল আরও একটি বছর।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর গড়িয়ে বিকেল, আস্তে আস্তে তেজদীপ্ততা ছেড়ে মলিন হতে শুরু করে সূয্যিমামা। ডিমের কুসুমের মতো গোলাকার সূর্যটা দেখে মনে হতে পারে কপাল জুড়ে লালটিঁপ দিয়ে সেজেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। তবে সাজবেই বা না কেন? আজ যে তার বিদায় নেয়ার পালা!
বিকেল গড়াতেই পর্যটকদের চোখ পশ্চিম আকাশে। একটু একটু করে সাগরের বুকে হেলে পড়ে সূর্য, সাগরের বুকে যতোই হেলে পড়ছে সূর্য, ততোই রাঙা হয়ে উঠে আকাশ, চারপাশ।
নিরবে সৈকতে আছড়ে পড়ছে সাগরের ঢেউ। সেই ঢেউয়ে নেমে পা ভিজিয়ে দেখছেন সূর্যাস্ত। হাত নেড়ে বিদায় দিচ্ছে ২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্তকে। আর সূর্যের সঙ্গে প্রেমে বন্দি করছেন নিজের ছবি।
ক্ষণিকেই আরও হেলে পড়লো সূর্য, নিমিষেই একেবারে সাগরের বুক ছুঁই ছুঁই লাল সূর্য। সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে গেল সাগর জলে। ততক্ষণে লাল সূর্য সাগরে নিজেকে সপে দিল পুরোপুরি।
২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সাগরতীর। সাগরতীরে সবার দৃষ্টি ছিল সূর্যের দিকে। আর সূর্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাশা করছেন, সুন্দর হোক আগামীর বাংলাদেশ।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, পর্যটকে ভরে যাক কক্সবাজার। নিরাপত্তা নিয়ে আনন্দ উপভোগ করুক পর্যটকরা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, পুরনো বছরের ভুলত্রুটিগুলো বাদ দিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। প্রত্যাশা পূরণ করতে চায় পর্যটকের।