জাতীয় ডেস্ক :
প্রবেশপথে রাস্তা কেটে বাধার পরও চট্টগ্রামে জঙ্গল সলিমপুরে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় কয়েকটি পাকা ঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তারা পুনর্বাসনের দাবি জানান। এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে পুরো দমে উচ্ছেদ অভিযান।
রাস্তা কেটে আর মানুষ জড়ো করে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল অভিযানে আগে। সব বাধা পেরিয়ে নির্ধারিত সময়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ঢোকেন জেলা স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রশাসক ও পুলিশের ডিআইজি। রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখে দলটি। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া একটি পাকা ঘর।
সন্ত্রাস আর দখলাদের সাম্রাজ্যে হওয়ায় ঝুঁকি বিবেচনায় অর্ধশতাধিক গাড়ি বহরে ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তিনশ’র বেশি সদস্য।
চট্টগ্রামে রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখলাম। সব সরকারি জায়গা, খাস জমি। এগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।’
অভিযানে জেলা প্রশাাসক মমিনুর রহমান জানান, আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হবে পুরোদমে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান। এখানে বড় বড় সরকারি স্থাপনা হবে। কেউ এখানে থাকতে পারবে না।
এদিকে আগেই প্রশাসন পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল পুনর্বাসনের। তবে কেউ পুনর্বাসন আবার কেউ চান স্থানীয় জমির মালিকানা।
এর আগে নালা সংস্কারের নামে কৌশলে বেশ কয়েকটি রাস্তা কেটে দেয় দখলদাররা। পরে ট্রাক ভর্তি বালির বস্তা এনে ফেলা হয় নালায়। চলাচলের উপযোগী হলে সেই পথ দিয়ে প্রবেশ করে হয় র্যাব, পুলিশ ও প্রশাসনের গাড়ি।
জঙ্গল সলিমপুরের তিন হাজার একরের বেশি সরকারি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালসহ ডজনখানেক সরকারি স্থাপনা নির্মাণের কথা রয়েছে।