ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার দেবীর ঘোড়ায় আগমন ঘোড়াই গমন। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। এ বছর রাজাপুর উপজেলায় ২২ টি পুজা মন্ডবে দুর্গা উৎসবের পুরোদমে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। চলছে প্রতিমায় রং তুলির আঁচর। শেষ মুহুর্তে প্রতিমা শিল্পীরা (গুণরাজ) ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। ৫ দিন ব্যাপী দুর্গোৎসব পালনে উপজেলার ২২ টি পুজা মন্ডপে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। অন্যদিকে নতুন পোশাক কিনে অপেক্ষায় থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।এই সময়টা আলাদা ভাবে কাটানোর জন্য সারাবছর ধরেই তারা পরিকল্পনা করতে থাকে।
গুণরাজ গৌরাঙ্গ পাল ও রবি পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন রং তুলির কাজ করছি।
রাজাপুর বন্দর সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের পুরোহিত শ্রী কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী বলেন, শাস্ত্রমতে, দুর্গা যদি ঘোটকে চড়ে আসেন এবং ঘোটকে বিদায় নেন তবে তার ফল ‘ছত্র ভঙ্গ স্তুরঙ্গমে’ অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। কথায় একে বলা হয় ‘ছত্রভঙ্গম’।
এ বিষয়ে রাজাপুর পূজা উদযাপন পরিষদের রাজাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাড সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা উপজেলার সকল পূজা মন্ডপের খোজ খবর রাখছি, সুবিধা অসুবিধা শুনে সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। এবার আমাদের দেবী দুর্গা আসবেন “ঘোটক” অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে।
রাজাপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল কর্মকার বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে। শিল্পীরা তাদের সকল কিছু নিয়ে প্রতিমাকে তার রুপ দিতে সকাল থেকে রাত অবদি ব্যস্ত সময় পার করছে। এবছর রাজাপুরের ২২ টি পূজা মন্ডপের সাতুরিয়ায় ৬ টি, শুক্তাগরে ৭ টি, রাজাপুরে ৪ টি, গালুয়ায় ২ টি, মঠবাড়িতে ৩ টি অবস্থিত। এরমধ্যে ৮ টি পূজা উদযাপন করার জন্য অস্থায়ী ভাবে বানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোয় তারা দেবীর রুপ ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে। পূজা মন্ডপের এলাকা গুলোতে তাদের তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আর কয়েকদিন বাকি। বাংলাদেশ সরকার থেকে দেওয়া নির্দেশনা ইতোমধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজাপুরের ২২ টি মন্ডপের ৪ টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৫ টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকিগুলো সাধারণের তালিকায় রেখে সেই অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।