হোম জাতীয় রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক ভারসাম্যের সমীকরণে ব্রিকসের সদস্যপদ মেলেনি: পররাষ্ট্র সচিব

জাতীয় ডেস্ক:

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে ব্রিকসের পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছে নতুন ছয় দেশ। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল হওয়ার পরেও জোটের নতুন সদস্য হয়েছে ইথিওপিয়া। তবে সেই তালিকায় ঠাঁই পায়নি বাংলাদেশ। এর কারণ কী তা বুঝতে আলোচনা চলছে নানামুখি।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক ভারসাম্যসহ নানা সমীকরণেই বাংলাদেশ এবার ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি।

রোববার (২৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক ভারসাম্যসহ নানা সমীকরণে বাংলাদেশেকে যুক্ত করেনি ব্রিকস। তবে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, আশাহত হওয়ার কিছু নেই। ব্রিকসের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়ার প্ল্যাটফর্ম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বাংলাদেশ আছে আগে থেকেই।

তিনি আরও বলেন, ব্রিকস যে পশ্চিমাবিরোধী কোনো জোট নয়, তাও পরিষ্কার হয়েছে সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে। ব্রিকসের ব্যাংক এনডিবিতে যুক্ত থাকায় অর্থনৈতিক সুফল পাওয়াও আটকে থাকবে না বাংলাদেশের।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সেপ্টেম্বরে ফের রাখাইনের পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমার যাচ্ছে ঢাকার প্রতিনিধি দল। ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন বাস্তবতায়নের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন মিলে গঠন করে ব্রিক জোট৷ পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংযোজনে কৌশলগত এ অর্থনৈতিক জোটটি ব্রিকস নামে যাত্রা শুরু করে৷ যার ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন এবার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা ছিল বাংলাদেশ জোটের সদস্য হবে। তবে নতুন করে ছয়টি দেশ অন্তর্ভুক্ত হলেও বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর মোট জিডিপির ২৩ শতাংশ এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশের অধিকারী এখন এ জোট৷ এছাড়া বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্যের ১৬ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব করছে ব্রিকস। এ অবস্থায় জোটে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য খারাপ হবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন