খেলাধূলা ডেস্ক:
এপ্রিলে আইপিএলে পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে কেন উইলিয়ামসন। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা ফ্যাব ফোরের এই সদস্যের আসন্ন বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেই দারুণ সুখবর পেলেন নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার। টেস্ট ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
গত মার্চের পর উইলিয়ামসন বা নিউজিল্যান্ড আর টেস্টই খেলেনি। এমনকি উইলিয়ামসন এপ্রিলের পর আর মাঠেই নামেননি। তবু অন্যদের ওঠানামা আইসিসির সবশেষ হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে বসিয়ে দিয়েছে উইলিয়ামসনকে। বুধবার (৫ জুলাই) প্রকাশিত হয়েছে নতুন এই র্যাঙ্কিং।
উইলিয়ামসন ২০২১ সালের আগস্টের পর প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে বসলেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে বসেছিলেন এই কিউয়ি ব্যাটার।
র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন লর্ডস টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো স্টিভ স্মিথও। ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরি করে চার ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। ৮৮৩ পয়েন্ট নিয়ে উইলিয়ামসনের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে তিনি।
এজবাস্টন টেস্টে সেঞ্চুরি করে শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন জো রুট। কিন্তু লর্ডসে দুই ইনিংসেই মাত্র ১০ ও ১৮ রান করে শুধু শীর্ষস্থানই হারাননি এই ইংলিশ, চার ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পঞ্চম স্থানে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানেও দুই অস্ট্রেলিয়ান। লরডসে দুই ইনিংসে ৪০ ও ৩০ রান করা লাবুশেন ৮৭৩ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর একই টেস্টের প্রথম টেস্টে ৭৭ রান করা ট্রাভিস হেড ৮৭২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে।
র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ সাতে আছেন আরও এক অস্ট্রেলিয়ান। অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করা উসমান খাজা ৮৪৭ পয়েন্ট নিয়ে আছেন সপ্তম স্থানে। শীর্ষে থাকা উইলিয়ামসনের সঙ্গে তার পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র ৩৬।
অ্যাশেজের পরের টেস্ট হেডিংলিতে। এই টেস্টেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে আসতে পারে পরিবর্তন। শীর্ষে থাকা উইলিয়ামসন ও পাঁচে থাকা রুটের পয়েন্টের তফাত মাত্র ১৭। মাঝে থাকা তিনজনই খেলছেন অ্যাশেজে। তাই পরিবর্তন যে আসছে তা মোটামুটি নিশ্চিতই বলা চলে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন প্যাট কামিন্স। লর্ডসে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪ উইকেট নেওয়া অজি অধিনায়ক ৮২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। দুই ধাপ উন্নতি করা কামিন্সের সঙ্গে শীর্ষে থাকা ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পার্থক্য ৩৪। লর্ডসে ৬ উইকেট নেওয়া মিচেল স্টার্কও দুই ধাপ এগিয়েছেন। তিনি উঠে এসেছেন ১৪ নম্বরে।
অজিদের উন্নতির দিনে অবনতি ঘটেছে ইংলিশদের। লর্ডসে মাত্র ২ উইকেট পাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন ২ ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন চারে। তবে তরুণ ইংলিশ পেসার জস টাং লর্ডসে ৫ উইকেট নিয়ে ২৭ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৯তম স্থানে।