হোম জাতীয় মানিকগঞ্জ ছাড়তে হলো কৃষককে বের করে দেয়া সেই কৃষি কর্মকর্তাদের

মানিকগঞ্জ ছাড়তে হলো কৃষককে বের করে দেয়া সেই কৃষি কর্মকর্তাদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 116 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কৃষি অফিস থেকে কৃষক ফজলুর রহমানকে বের করে দেয়ার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মানিকগঞ্জ থেকে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে একটি অফিস আদেশে শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাকে দিনাজপুর এবং আরেকটি অফিস আদেশে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

শিবালয়ের কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন সুজনকে দিনাজপুর অঞ্চলের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।

অন্যদিকে শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পদায়ন করে বদলি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বোরোক্ষেতে পোকার আক্রমণ হওয়ায় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান পরামর্শের জন্য একগুচ্ছ ধান হাতে কৃষি অফিসে যান। এ সময় তিনি ধানগুলোর ছবি তোলার কথা বলেন এবং জেলার উপপরিচালকের ফোন নম্বর চান। একই সঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যান না বলে অভিযোগ করলে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন।

পরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন ওই কৃষককে বলেন, ‘আমি কি আপনার কামলা দেই? আপনি কি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন? আপনি বললেই মাঠে যেতে হবে? যা পারেন করেন গা। আপনি বেরিয়ে যান। যদি বয়স্ক লোক না হতেন তাহলে আপনাকে দেখে দিতাম।’ একপর্যায়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়।

ঘটনা জানার পর দুই সাংবাদিক ভুক্তভোগী কৃষককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের কাছে গেলে তিনিও সাংবাদিকদের সামনেই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার।

এ ঘটনা সময় সংবাদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. শহিদুল আমিন এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো. মামুন ইয়াকুবকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন