হোম অন্যান্যসারাদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধী আব্দুল মজিদ সাজার পরই আত্মগোপনে ছিলেন: র‌্যাব

অনলাইন ডেস্ক :
সাজা হওয়ার পর থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধী আব্দুল মজিদ স্থান বদল করে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

র‌্যাব জানায়, আট বছর পলাতক ছিলেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধী আব্দুল মজিদ। গ্রেফতার এড়াতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন অন্যের ফোন দিয়ে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামিকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাজা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এ অপরাধী।

র‌্যাব আরও জানায়, আব্দুল মজিদ শিক্ষকতা করতেন মাদারীপুরের একটি কামিল মাদ্রাসায়। কিন্তু মহান এ পেশার আড়ালে তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর অপরাধী। একজন দেশদ্রোহী আলবদর নেতা।

গতকাল বুধবার রাতে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলায় জামায়াত নেতা এ মজিদের নেতৃত্বেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় নয় মুক্তিযোদ্ধাকে। হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয় নদীতে। মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যাচারের জন্য একটি টর্চারসেলও গঠন করেছিলেন আব্দুল মজিদ। যার নাম ছিল মুক্তি কয়েদখানা।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তবে বিচারিক আদালতে বিচার চলাকালীনেই পালিয়ে যান মজিদ। ফাঁসির আদেশ হলে আত্মগোপনেই থেকে যান তিনি। প্রথমে ঢাকায়, পরে স্থান পরিবর্তন করে বসবাস করতেন মাদারীপুরে। পলাতক থাকা অবস্থায় মজিদের সব খরচ বহন করতেন তার সন্তানেরাই।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন