হোম ফিচার মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে লড়ার হাতিয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ

স্বাস্থ্য ডেস্ক :

বিশ্বজুড়ে কোভিডের পাশাপাশি নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব এখনো খুঁজে পাওয়া না গেলেও পর্তুগাল, স্পেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিস পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

মাঙ্কিপক্স নতুন রোগ নয়। তবে এ রোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না বিশ্ববাসীর। প্রথমে আফ্রিকায় এ রোগের হদিস মিললেও পরবর্তী সময়ে অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিস্মিত গবেষকরা। কোভিডের বিপর্যয় কাটতে না কাটতেই এ ভাইরাসের সংক্রমণে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ব্রিটেনে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সাতজনকে নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়, যা ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এ গবেষণা অনুযায়ী, এমন কিছু ‘অ্যান্টিভাইরাল’ ওষুধ আছে, যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ প্রশমিত করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এসব ওষুধ প্রয়োগ করে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে দাবি গবেষকদের।

এ ক্ষেত্রে রোগীদের ওপর দুটি ভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্রিনসিডোফোভির ও টেকোভিরিমাট প্রয়োগ করেই আশানুরূপ ফল পেয়েছেন গবেষকরা।

মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে গবেষকরা ব্রিনসিডোফোভির নামক ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হলেও টেকোভিরিমাটের বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করছেন। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলেই শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি টের পাওয়া সম্ভব।

এ ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও। এর পর দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ফোসকার মতো ক্ষত।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এ ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। যৌন মিলনের মাধ্যমেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

আমেরিকার একদল বিশেষজ্ঞের মতে, স্মলপক্সের টিকার মাধ্যমেও এ রোগের সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। দিন দিন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষকরা এ সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

সূত্র: ল্যানসেট, আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন