হোম জাতীয় মসজিদের ইমাম থেকে চোর, তারপর…

জাতীয় ডেস্ক :

৩৩ বছর কাটিয়েছেন সৌদি আরবে। সম্ভ্রান্ত ইমাম পরিবারের সন্তান তিনি। নিজেও করতেন ইমামতি। গাড়ি চুরির অভিযোগে সৌদিতে তিন বছরের জেল হয় তার। কারাভোগের পর ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে। তবে শোধরাতে পারেননি নিজেকে।

দেশে ফিরে শুরু করেন আবার চুরি। পরিণত হন দুর্ধর্ষ চোরে। কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টারের চুরি হওয়া মোবাইলের তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধান পেয়েছে সেই চোরের। গ্রেফতার করা হয়েছে তার আরও দুই সহযোগীকেও।

২৩ এপ্রিল কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সময় চুরি হয়ে যায় তার ওয়ালেট। ওয়ালেটে ছিল তার দুটি মোবাইল ফোন ও চল্লিশ হাজার টাকা। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে সন্দেহভাজন চোরের সটকে পড়ার দৃশ্য।

এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লষণ করে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় চোরকে। তাকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

স্টেশন ম্যানেজারের মোবাইল চুরি করা ব্যক্তির নাম আজিজ মোহাম্মদ। তিনি একজন পেশাদার মোবাইল চোর। দীর্ঘ ৩৩ বছর ছিলেন সৌদি আরবে। কোরআনে হাফেজ আজিজ সেখানকার বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করতেন। চুরি বিদ্যা তিনি রপ্ত করেছিলেন সৌদি আরবেই। সঙ্গ দোষে তিনি হয়ে পড়েছিলেন মাদকাসক্ত। হাত মেলান গাড়ি চোর চক্রের সঙ্গে।

চুরির অপরাধে সৌদিতে তার তিন বছরের জেল হয়। কারাভোগের পর ২০১৮ সালে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

দেশে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। চুরির অভিযোগে ক্যাম্প থেকে চাকরি হারিয়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। নতুন উদ্যমে শুরু করেন চুরি। এবার হাত মেলান মোবাইল চোর ও পকেটমার চক্রের সঙ্গে।

ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, ওই ঘটনার ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় ১৭টি মোবাইলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোরআনে হাফেজ আজিজের বিপথে যাওয়ার একমাত্র কারণ নেশায় জড়িয়ে পড়া।

আজিজের সঙ্গে গ্রেফতার বাকি দুজনও দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন